কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :
মহেশখালীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ১’শ লিটার চোলাই উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগতরাত এসআই মহসীন চৌধুরী-পিপিএম, এসআই সাজ্জাদ, এসআই জীবন দে, এসআই মহিউদ্দিন, এএসআই এমদাদ, এএসআই এজাহার, এএসআই নাছির সঙ্গীয় ফোর্সসহ মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বন-৩৭/১১ মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি উপজেলার উম্মানিয়া পাড়ার মৃত কবির আহম্মদের পুত্র মোস্তাক মিয়া (৪০), পারি-৬১/২০ মামলার ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত দক্ষিণ ঝাপুয়া এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে আতাউর রহমান (২৫), জিআর-৮০/০৩ মামলার জৈয়ার কাটা এলাকার বদন আলীর ছেলে গোলাম সুলতান ও সিপাহী পাড়ার জমির হোসেনের ছেলে মো. শাহজাহান(৩০) এবং একশো লিটার চোলাই মদসহ হিন্দুপাড়া এলাকার দশরত শীলের পুত্র সুমন শীল (৩৩)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ বলেন, অভিযান চালিয়ে ডাবল সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় একজনের হেফাজত থেকে ১’শ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ৫ই আগস্ট পরবর্তী পুলিশ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যে ধারণা ছিল তা অনেকটা জনগণের বন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মহসিন চৌধুরী-পিপিএম।
তিনি থানায় যোগদান পর থেকেই থানার আগে চিত্র তিনি পাল্টে দিয়েছেন, থানাকে জনগণের ভরসাস্থল করেছেন।
জানা যায়, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের নেতিবাচক দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি দক্ষ, মানবিক, সৎচরিত্রে দৃঢ়তা ও সততায় শতভাগ পেশাদারিত্বে থানার কার্যক্রম সাহসিকতার সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধ ও সমস্যা মোকাবিলা করে পুলিশি সেবার মান সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিয়ে
যোগদানের এক মাসের মাথায় বিভিন্ন মামলায় দীর্ঘদিনের সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ জন আসামিসহ, ওয়ারেন্টভুক্ত, মাদক, সামাজিক দাঙ্গা, ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ৬৬জন আসামিকে গ্রেফতার করে স্বল্প সময়ের মধ্যে জনসাধারণের ভালোবাসা অর্জন করে প্রশংসায় ভাসছেন মহেশখালী থানার নতুন এসআই (উপপরিদর্শক) মহসিন চৌধুরী -পিপিএম।
পুলিশের এই কর্মকর্তার প্রশংসা করে স্থানীয়রা জানান, মহসিন চৌধুরী থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একের পর এক যে অভিযান পরিচালনা করছেন তা সত্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ করে তার বিচক্ষণতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীদের আনাগোনা কমেছে এবং সেই সাথে কমেছে অপরাধ প্রবণতাও। তিনি চুরি, সন্ত্রাস ও মাদক বন্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে তার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-