নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সদরে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলামকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নিহত এসআই শফিকুলের বাবা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এদিন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছি আমরা। আশা করি, দ্রুততম সময়ে তাদের ধরতে পারবো।’
এদিকে, শুক্রবার বিকালে উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়িতে এসআই শফিকুলের জানাজা শেষে তাকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ সময় ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের একদিন পেরিয়ে গেলেও জড়িত কাউকে গ্রেফতার ও প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজন।
নিহতের ছেলে রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘যারা আমার বাবাকে হত্যা করে আমাকে এতিম করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাদের ফাঁসি চাই।’
পুলিশ ও পরিবারের বরাতে জানা গেছে, এসআই শফিকুল ইসলাম জামালপুর পুলিশ লাইনসে কর্মরত। তিনি গত ৮ জানুয়ারি ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুর্গাপুর পৌর শহরে বসবাস করতেন। স্ত্রী-সন্তানের কাছেই এসেছিলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি কেনাকাটা করতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানেই তিনি মারা যান।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখনও হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব না হলেও কাজ চলছে। খুব দ্রুতই তা উদঘাটন হবে এবং জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-