বার্তা পরিবেশক :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ভোগদখলীয় জমি দখলে নিতে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হামলা ও জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নজির আহমদের স্ত্রী আলমাছ খাতুন বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও থানাতে তা গ্রহণ না করায় বান্দরবান আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং জিআর- ১০৭/২৪।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুম আজুখাইয়া এলাকার মফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে গিয়াস উদ্দিন, আক্তার মিয়া, কামাল হোসেন, হাসিনা আক্তারসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন সন্ত্রাসী কায়দায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় চার একর জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এসময় কারণ জিজ্ঞেস করলে নজির আহমদের উপর হামলা করে ব্যাপক মারধর করে তারা। পরে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করলে হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ উঠে মফিজ গংয়ের বিরুদ্ধে। পরবর্তী জায়গা দখল করে জোরপূর্বক বনজ গাছপালা কেটে সাবাড় করে তারা।
মামলার বাদী আলমাছ খাতুন জানায়,”আমার স্বামী গেল ২০ বছর যাবৎ তুমব্রু ২৭১ নং মৌজার প্রায় চার একর জমি ভোগদখল করে আসছেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের মে মাসের ১৫ তারিখ আমার স্বামীর নামে হেডম্যান মংচানু রিপোর্ট প্রদান করেন। যার ফলে জমিটি স্থায়ী বন্দোবস্থি পাওয়ার জন্য ২০২২ সালের জুনের ১২ তারিখ বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। যার নং সি-১০৪।
কিন্তু আমার স্বামীর ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে হামলা করে মফিজের নেতৃত্বে ৫/৬জন। আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে সেখানেও আশংকাজনক দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আমার স্বামীকে মেরে তারা হাতের হাড় ভেঙে দিয়েছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই এবং এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-