কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে অন্তত ৪০ প্রাণহানির শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক :

কাজাখস্তানে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন যাত্রী নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৮ আরোহীকে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের অন্তত ৪০ যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। ২৮ আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। আহতদের উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির আকতাউ শহরের কাছে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ছিল এটি। ফ্লাইটে ৬৭ আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন ক্রু ও ৬২ জন যাত্রী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, আজারবাইজান এয়ারলাইনসের এই ফ্লাইটটি আজারবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। তবে কুয়াশার কারণে তা পথ পরিবর্তন করে। পশ্চিম কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আকাশে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যায়। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

কাজাখস্তানের জরুরি পরিষেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা উড়োজাহাজের আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিন শিশুসহ ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আজারবাইজান এয়ারলাইন্স বলেছে, এমব্রেয়ার ১৯০ উড়োজাহাজের জে২-৮২৪৩ ফ্লাইটটি রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়।

এক বিবৃতিতে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান পর্যবেক্ষক সংস্থা বলেছে, উড়োজাহাজে পাখির আঘাতের পর পাইলট জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।

আরও খবর