কক্সবাজার জার্নাল ডটকম :
মিয়ানমারে জান্তা সরকার এবং বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যে, গত দুই মাসে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, বাংলাদেশ শুধুমাত্র দক্ষিণ-পূর্ব জেলা কক্সবাজারে ১ দশমিক ২ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির মাধ্যমেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। কারণ, কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে সহায়তা করছে।
এই বিষয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন তার ব্যাংকক সফরে সাংবাদিকদের জানান, নীতিগতভাবে আমাদের অবস্থান থেকে আর কোনো রোহিঙ্গাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। আরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এমন নয় যে, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ঢুকতে দিয়েছি। তারা বিভিন্ন রুট দিয়ে প্রবেশ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান সোয়ে এর সাথে আলাপের পর তিনি বলেন, আমি তাকে (থান সোয়ে) বলেছি যে মিয়ানমার সীমান্ত আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। সীমান্ত নন-স্টেট অ্যাক্টরদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। রাষ্ট্র হিসেবে আমরা নন-স্টেট অ্যাক্টরদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না। তাই তাদের দেখতে হবে কী উপায়ে সীমান্ত ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করা যায়।
বাংলাদেশ সীমান্তে রাখাইন রাজ্যের আরও কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে আরাকান আর্মি। এই বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, মিয়ানমারে এখন যারা এই অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাদের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করা সম্ভব নয়। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা মিয়ানমারকে সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-