শেখ মুজিবুর রহমান :
টেকনাফের হোয়াইক্যং’য়ে ১৫ জন পিছিয়ে পড়া নারীকে ৪৫ দিন কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে সার্টিফিকেট প্রদান করলেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “স্কাস” এর চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা।
গত (১৭ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্কাসের মাল্টি পারপাস সেন্টারের ২য় তলায় এই সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল ইউপি সদস্য শাহজালাল, ইউপি সদস্য কবির আহমদ ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য জমিলা আক্তার। সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের মাঠ প্রদর্শন করে প্রশিক্ষণার্থী’দের কার চালোনার দক্ষতা যাচাই যাচাই করেন। পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতিদের বক্তব্যে ওয়াফা আক্তার নামের এক প্রশিক্ষণার্থী উচ্ছ্বাসিত হয়ে বলেন, “৪৫ দিন পর্যন্ত কঠিন পরিশ্রম করে কার ড্রাইভিং শিখেছি এই ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে সামাজিক বাধাবিপত্তি ও বোলিং এর শিকার হতে হয়েছে তারপরেও শিখতে পেরেছি। স্কাস ও জাগো নারীকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এরকম একটা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য”।
স্থানীয়দের মধ্যে প্যানেল ইউপি সদস্য মোঃ শাহজালাল বলেন, এই অজপাড়া গাঁয়ে নারীদের জন্য কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। পিছিয়ে পড়া নারীরা ফ্রিতে ড্রাইভিং শিখে জীবনমুখী পেশা হিসেবে ড্রাইভিং করতে পারবে। এমনকি আমার পরিবার-পরিজনকেও এই ট্রেনিং এর আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব।
এসময় স্কাসের চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা বলেন, এরা একদিন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত জয়ী করবে পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিওদের এই প্রশিক্ষণার্থী’দের কে যেন পেশাদার চালক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথম তালিকায় রাখা হয় এছাড়াও বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্পে যেন তাদের যুক্ত করার মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য সকল সহযোগী সংস্থাদের অনুরোধ জানাবো।
উল্লেখ্য যে, সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা-স্কাস একটি দেশীয় মানের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। স্কাস ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে দরিদ্র, প্রান্তিক এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করতে এবং বৈষম্য ও সব ধরনের শোষণ দূর করতে কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশে জোরপূর্বক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে স্থানীয় এবং রোহিঙ্গাদের জন্য শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জীবিকায়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের পশ্চাদপদ নারী ও শিশু সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উক্ত মহা কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি UN Women দাতা সংস্থার সহায়তায় Means to lead নামের একটি প্রকল্প হোস্ট কমিউনিটি ও ক্যাম্পে জাগো নারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৫ জনকে ড্রাইভিং এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-