দু'দিনের বার্ষিক আয়োজনে পরিচালক মিশু-

ওশান প্যারাডাইসের কর্মীরা নৈতিকতা-সেবা ও কর্মদক্ষতায় প্রসিদ্ধ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

  • বার্ষিক রিফ্রেশমেন্ট অনবরত কাজে অক্সিজেনের কাজ করে

কর্মজীবীরাই একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। পর্যটন জোনের তারকা হোটেল গুলোর সুনাম এখানকার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করা নারী-পুরুষের শ্রমে।

গত একযুগ ধরে দরিয়ানগরের কলাতলী জোনে পর্যটন শিল্পে পর্যটক সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখছে তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেড। হোটেলের সব বিভাগের কর্মীরা আচরণে, নৈতিকতায়, সেবা ও কর্মদক্ষতায় প্রসিদ্ধ। প্রায় তিনশ’ কর্মী সারাবছর পর্যটক সেবায় নিয়োজিত। অনবরত কাজে অক্সিজেনের কাজ করে রিফ্রেশমেন্ট। তাই সকলকে একত্রিত করে বিনোদনের প্রয়াস চলে।

মানবসম্পদ বিভাগ হোটেল কর্মীদের সুচারুভাবে পরিচালনার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন বিনোদনের আয়োজন করে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দু’দিন ব্যাপী পিকনিকের সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু এসব কথা বলেছেন।

হোটেলের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কাজের একগুয়েমি ভাব কাটাতে প্রতিবছর জমকালো আয়োজনে পিকনিক আয়োজন করা হয়। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবার ইনানীর পাহাড় ঘেরা গ্রামে ‘ক্যাম্প ইনানী’ নামক স্থানে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বার্ষিক রিফ্রেশমেন্ট তথা কর্মীদের পারিবারিক মিলন মেলা চলে। হোটেলের চলমান সেবার বিঘ্ন না ঘটাতে অর্ধেক কর্মীকে প্রথমদিন এবং বাকী কর্মীদের দ্বিতীয়দিন পিকনিকে অংশগ্রহণ করানো হয়।

তিনি আরো বলেন, দু’দিন-ই অংশগ্রহণকারিদের পাহাড় ট্যাকিং, মোরগ লড়াই, মেয়েদের বালিশ খেলা, ছেলেদের ঝুড়িতে বল নিক্ষেপসহ ভরপুর ছিলো নানা আয়োজনে। পরে, কর্মীদের অংশগ্রহণে নাচ, গানসহ এবং ব্যান্ড দল গান ফড়িংয়ের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। ছিল রেফেল ড্র। প্রতিদিনই বিজয়ীদের পারিবারিক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারে কাজে আসা মূল্যবান আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় হোটেল প্রাঙ্গণ থেকে অত্যাধুনিক বাসে হোটেলকর্মীদের পিকনিক স্পটে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে সকালের নাস্তা, পাহাড় ট্যাকিংয়ের পর টি-ব্রেক, দুপুরে নানা আইটেমে সুস্বাদু খাবার, আয়োজনের ফাঁকে বিকেলে স্নেক্স দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

প্রায় তিনশ কর্মীদের দু’দিনের আয়োজনে পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন। আয়োজন সুচারু করে অর্থ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলমগীর, নুরুল হক, ফুড এন্ড ভেবারেজ বিভাগের সিরাজুল ইসলাম, প্রধান সেফ আবু নাসের, এইচআর বিভাগের কিশোর ও রাহাতসহ অন্যান্য বিভাগের ম্যানেজার ও এক্সিকিউটিভগণ ভোলান্টিয়ার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। আয়োজনের সার্বিক সহযোগী হিসেবে দায়িত্বপালন করে জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়ীদ আলমগীর।