উখিয়ায় রাতের আতঙ্ক মাটি পাচারকারী ডাম্পার: বাড়ছে দূর্ভোগ!

স্টাফ রিপোর্টার :

পট পরিবর্তনের পর উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক স্পট থেকে অবৈধভাবে পাহাড়ের বালি মাটি পাচার বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরবতায় পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার থাইংখালী, বালুখালী, জালিয়াপালংয়ের খাল ও বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালি ও মাটি পাচার করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। দিনদুপুরে সড়কে যানজট থাকায় কম পাচার করলেও রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বেপরোয়া গতির ডাম্পার গাড়িযোগে মাটি ও বালি পাচার হয়। ডাম্পারের বেপরোয়া গতিতে আতঙ্কিত হয়ে উঠে সড়কের পাশে বসবাসরত স্থানীয়রা। একইচিত্র দেখা যায়, রুমখাঁ বড়বিল কোনারপাড়া এলাকায়। হেডম্যান পরিচয় দিয়ে আব্দুর গফুর প্রকাশ হেডম্যান লাভুর নেতৃত্বে পাহাড় সাবাড় করছে একটি চক্র।

উপজেলার কোর্টবাজার স্টেশনে রাত ১২টায় দেখা যায়, বেপরোয়া গতিতে জালিয়াপালং হয়ে একসাথে দুই তিনটি লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ডাম্পার মাটি পাচার করছে। বেপরোয়া গতি দেখে সড়কের অন্য যানবাহনের যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে উঠতে দেখা যায়।

এছাড়াও পাকা রাস্তার উপর মাটি বহন করা দ্রুত গতির ডাম্পার গাড়ি থেকে পড়া মাটিতে রাস্তাগুলো কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে যায়। এতে সামান্য পানির ছোঁয়া পেলে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হতে হয় মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির চালক ও পথচারীদের। ফলে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। একারণে মাটিখেকোদের উপর ক্ষোভ বেড়েছে পথচারীদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ- বছরের পর বছর ধরে কতিপয় মাটিখেকোদের লাইন্সেবিহীন ট্রাক-ডাম্পার পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি বহন করে থাকে। এই গাড়ি থেকে মাটি পড়ে রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়। এই মাটি রোদের সময় ধুলা আর বৃষ্টির সময় পিচ্ছিলকর কাঁদায় পরিনত হয়। এখন রাস্তায় সামান্য পানি পড়লেই পাকা রাস্তাগুলো কাঁদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন- জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায়, আর এ অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাহলে দূর্ভোগ বাড়বে। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে, পাহাড় কাটার ঘটনায় গত একবছরে একাধিক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তেমনিভাবে বেপরোয়া গতির ডাম্পার কেড়ে নিয়েছিলো অনেক শিশুর জীবন। এরপরও অবৈধভাবে মাটি ও বালি পাচার যেনো থামছেইনা।

এ বিষয়ে মাটি বহন করা ডাম্পার চালক ও মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীরা।