বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সাবেক জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ ও তার স্ত্রী নাছিমা সুলতানার সম্পত্তি ক্রোক করে ওই সম্পত্তি দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়ের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদ ওই আদেশ দেন। একই কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন মামলাটি তদন্ত করছেন।
দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্ব স্ব এলাকার সম্পদ ক্রোক করে ওই সব সম্পদের রিসিভারের দায়িত্ব পালন করবেন।
আদালতের দেওয়া আদেশে ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে, রাজধানী ঢাকার ডেমরা এলাকার ৩ কাঠা জমি, খিলগাঁও এলাকার গোড়ান মৌজার ১৩ জন অংশীদারে কেনা জমির মধ্যে আসামির ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি, ওই জমিতে ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে নির্মিত ফ্ল্যাট, ডেমরা এলাকার আমুলিয়া মৌজার ৯ শতক জমির মধ্যে ৫০ শতাংশ মালিকানার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ জমি, খিলগাঁও এলাকার গোড়ান মৌজায় ১২ জনের নামে কেনা সম্পদের আসামির অংশ ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ জমি ও একই মৌজায় ১২ জনের নামে কেনা জমির মধ্যে আসামির অংশ ১ দশমিক ৯৬৪ শতাংশ জমি।
এছাড়াও নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে কামতা মৌজায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি চাকুরিজীবী ক্যাটাগরিতে পাওয়া ২৪ নম্বর সেক্টরের ৩০৭ নম্বর রোডের ৩ কাঠা আয়তনের ৩৭ নম্বর প্লটও রয়েছে।
এসব সম্পদের মধ্যে ঢাকার জমি দেখভালের জন্য ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নারায়নগঞ্জের জমি দেখভালের জন্য নারায়নগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে রিসিভার নিয়োগ করেছেন কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালত।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর অনিয়ম-দুর্নীতি, তদন্ত, বদলিসহ নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়। দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন বিন আহমদ নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ইতোপূর্বে গত ২৭ অক্টোবর দূর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি রুজু করার অনুমোদন দেয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-