চাকরি ছেড়েছেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই

রংপুর :

শহীদ আবু সাঈদ। ফাইল ছবি

বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া চাকরি ছেড়েছেন রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ হওয়া আবু সাঈদের দুই ভাই। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ই-মেইলে এবং ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি অবগত করে তারা দু’জন পত্র প্রেরণ করেন। বুধবার রাত ১১টায় মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।

গত ৯ অক্টোবর আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী এবং আরেক ভাই আবু হোসেনকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীর পদে নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপ।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের হেড অব মার্কেটিং সালাউদ্দিন আহমেদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। ওই সময় আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরাসহ প্রতিবেশীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

চাকরি পাওয়ার এক মাসের মাথায় অব্যাহতি নেওয়া প্রসঙ্গে আবু হোসেন জানান, তারা দুই ভাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অবগত করতে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্তৃপক্ষকে অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর থেকে অফিসে সময় দিতে পারিনি। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। অফিস না করে মাস শেষে বেতন নেওয়ার ইচ্ছে আমাদের নেই।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিন রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা বলেন, আবু সাঈদের ভাই রমজান আলীকে বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুর ব্যুরো অফিসের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

অন্যদিকে টিভি চ্যানেল নিউজ-২৪ এর রংপুর ব্যুরো অফিস সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ পাওয়ার পর দু’দিন অফিস করেছেন আবু হোসেন। তবে চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক আবু সাঈদ। ওই ঘটনার পর সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের।