ফেরদৌস ফয়সাল :
বিসমিল্লাহ এর ফজিলত
আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়া হলে আল্লাহ তা পূরণ করেন। আল্লাহর নামের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করলে, তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দেন। যেকোনো কাজ বা কিছু শুরু করার আগে তাই পড়তে হবে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’, অর্থ পরম করুণাময়, পরম দয়াময় আল্লাহর নামে।
আবু দাউদে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কাজ বিসমিল্লাহ ছাড়া আরম্ভ করা হয়, তাতে কোনো বরকত থাকে না।’
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বাক্যটি পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ৩০ নম্বর আয়াতের অংশ। কোরআনে ইঙ্গিত রয়েছে যে, প্রতিটি কাজ বিসমিল্লাহ বলে আরম্ভ করতে হবে।
বিসমিল্লাহ নিয়ে হাদিস
আবু দাউদে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কাজ বিসমিল্লাহ ছাড়া আরম্ভ করা হয়, তাতে কোনো বরকত থাকে না।’ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের সঙ্গে আল্লাহর নামের সম্পর্ক রয়েছে। কোরআন তিলাওয়াত ছাড়া অন্য কাজে বিসমিল্লাহ পাঠ সুন্নত।
আর কোরআন তিলাওয়াতের সময় আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম এবং বিসমিল্লাহ দুটোই পাঠ করা সুন্নত। বিসমিল্লাহ দুটি সুরার মাঝখানে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আয়াত, যা প্রতিটি সুরার প্রথমে লেখা হয় এবং দুটি সুরার মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করে। চিঠিপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখার শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা সুন্নত। অনেকে বিসমিল্লাহর পরিবর্তে ৭৮৬ লিখে থাকেন, কিন্তু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখাই উত্তম।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-