কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন(ইসিএ) এলাকায় সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ইনানী পেবল স্টোন রিসোর্টের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,পরিবেশগত বিবেচনায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে টেকনাফ সমুদ্রসৈকতের ১০ হাজার ৪৬৫ হেক্টর এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য, নির্মল জলরাশি এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ১৯৯৯ সালে এ এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে সরকার।
এ নির্দেশনা মতে, কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত, সৈকতের ঝাউ গাছসমৃদ্ধ ৩০০ মিটার উন্নয়ন নিষিদ্ধ ও ৫০০ মিটার সংরক্ষিত এলাকা। এ এলাকায় সব ধরনের স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ।
কিন্তু, পট পরিবর্তনের সুযোগে বেআইনিভাবে সৈকতের বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মাণ করে হোটেল বা রিসোর্টে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে ইনানী পেবল স্টোন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঐ রিসোর্টের ম্যানেজার মুঠোফোনে জানান,”এটি ঢাকা থেকে এমডি অনুমতি নিয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সম্ভবত। তবে লিখিত অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।”
সমুদ্র সৈকত দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি ইরফান উল হাসান বলেন,”কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দখল রাজত্ব যেনো থামছেনা। এভাবে দখল অব্যাহত থাকলে পরিবেশ রক্ষা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। ইনানী পেবল স্টোন রিসোর্ট কর্তৃক সৈকত দখল করে স্থাপনা নির্মাণ অবিলম্বে উচ্ছেদ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আহমেদ শাকিল বলেন,”কক্সবাজারের মতো সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করার জন্য যারা সৈকত দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে তাদের এমন কর্মকাণ্ডে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন,”ইনানী সৈকতে স্থাপনা নির্মাণ ইতিপূর্বে উঠিয়ে দেওয়া হয়ছিলো। আবারও যদি নির্মাণ করে থাকে তাইলে উঠিয়ে ফেলার জন্য বলবো। এ বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা যদি না উঠায় আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-