কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :
ইয়াবা পাচারের মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একই মামলায় আরেক আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. মোশারফ হোসেন এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রনব কান্তি দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী হলেন- কক্সবাজারের রামুর রাজারকুল ঘোনারপাড়ার মো. নুরুল আমিন ও আছমিনা আক্তারের পুত্র মো. জিয়াবুল হক।
রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শওকত বেলাল এবং আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের রামুর রাজারকুল পঞ্জেগানা বাজারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে মো. জিয়াবুল হককে আটক করে। পরে তার কাছ ১০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রোহিঙ্গা মো. জিয়াবুল হক ও সাইদুল হককে আসামী করে রামু থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার রামু থানা মামলা নম্বর : ৪৫, তারিখ : ১৩/০৯/২০২১ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৫৪৩/২০২১ ইংরেজি (রামু) এবং এসটি নম্বর : ১৩৩০/২০২৩ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
কক্সজবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. মোশারফ হোসেন এর আদালতে মামলাটিতে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ মামলার সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে মামলাটি রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য্য করা হয়।
ধার্য্য দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. মোশারফ হোসেন ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০ (গ) ধারায় আসামী মো. জিয়াবুল হককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আসামী সাইদুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-