এম. বেদারুল আলম :
- ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার
- ৭৫০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন
- খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়ে আজ থেকে জেলার ৩২১ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে। ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসব শেষ হবে আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
পুজা ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা ও সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হার্ডলাইনে থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তকৎক্ষনিক সমস্যা সমাধান ও অভিযোগ গ্রহন করার জন্য খোলা হয়েছে ১৪ টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এরমধ্যে জেলা প্রশাসক, সেনাবাহিনী, র্যা ব, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং ৯ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাদের প্রধান করে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের ৭৫০ জন সদস্য পূজায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
আগামী ১৩ অক্টোবর দেশের বৃহৎ বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার সমুদ্র বেলাভূমিতে। ধারণা করা হচ্ছে সরকারি ছুটি এবং সমুদ্র বেলাভূমির বিসর্জন দেখতে এবার ঢল নামবে দর্শনার্থীদের। ইতোমধ্যে সকল স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে জেলা প্রশাসকের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দুর্গাপূজায় প্রতিটি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মাঠে ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যা ব, পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ তৎপর থাকবে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বিসর্জনের দিন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শারদীয় উৎসবে শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। ৭৫০ জন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষনিক মাঠে- মন্ডপে নিয়োজিত থাকবে। সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে মাঠে। এছাড়া পুলিশ র্যাকব ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেছে।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, আমাদের শারদীয় উৎসব আনন্দঘণ করতে প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমরা প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে খুশি এবং সন্তুষ্ট। আমরা জেলায় এবার ৩২১ টি মন্ডপে পূজা করছি। প্রশাসন আন্তরিক বলে আমরা অভয় পাচ্ছি। কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর। এখানে ধর্মীয় সম্প্রতি অটুট রয়েছে। এবার প্রশাসন আরো আন্তরিক ভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
উল্লেখ্য, এবার জেলায় ৩২১ টি মন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এরমধ্যে প্রতিমা পূজা ১৫১ টি এবং ঘট পূজা ১৭০ টি। উপজেলা ভিত্তিক মন্ডপের সংখ্যা হলো, সদর উপজেলায় প্রতিমা ১৩৮টি, ঘট পূজা ১১টি।ঈদগাও উপজেলায় প্রতিমা ১৭, ঘট পূজা ১৫ টি।
মহেশখালী উপজেলায় প্রতিমা একটি ঘট পূজা ৩৩ টি। রামু উপজেলায় প্রতিমা২৩, ঘট পূজা ১৩ টি।চকরিয়ায় প্রতিমা পূজা ৪৬টি, ঘট পূজা ৪৩ টি। কুতুবদিয়ায় প্রতিমা পূজা ১৪ টি, ঘট পূজা ৮টি। উখিয়ায় প্রতিমা পুজা আটটি, ঘট পুজা ও আটটি। টেকনাফে প্রতিমা পুজা হচ্ছে ছয়টি মন্ডপে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-