কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :
কক্সবাজার জার্নাল ডটকম-এ সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে উখিয়ার বালুখালী মরাগাছতলা ও থাইংখালী এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বনবিভাগের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩০ একর খাসজমি জবরদখলমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে গত ৬ অক্টোবর (রোববার) কক্সবাজার জার্নাল ডটকম-এ ‘উখিয়ায় খাসজমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে উখিয়ার বালুখালী মরাগাছতলা ও থাইংখালী এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বনবিভাগের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩০ একর খাসজমি জবরদখলমুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী মরাগাছতলা ও থাইংখালীএলাকায় সরকারি খাসজমি দখল করে গড়ে উঠেছিলো ইট কংক্রিটের স্থাপনা সহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা।
ওই এলাকার স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট খাসজমি গুলো দখল করে স্থাপনা তৈরি করে দোকান ভাড়া দিয়েছিলেন। দখলবাজরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে রাজি হতোনা।
দখলবাজদের মধ্যে ,”স্থানীয় নুরুল হক বেশিরভাগ দোকান থেকে মাসোহারা নেয় এবং নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় নুর হোসেন, জুহুর আলম, হাকিম আলী, আব্দুস সালাম, নুর সালাম ও মুনিয়া খাসজমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার তথ্য উঠে এসেছিলো।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ কক্সবাজার জার্নালকে জানান ,” সরকারি খাসজমি দখল করে যারা অবৈধভাবে দোকান গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সরকারি খাসজমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে।,
তিনি আরও জানান,”সরকারি খাসজমিতে দোকান থাকুক আর ঘর থাকুক এটা উচ্ছেদ করা হবে। গত দুয়েক মাস আগেও উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। এখন পূণরায় দখল হয়ে গেলে আবারও উচ্ছেদ করা হবে জানান তিনি।”
এদিকে, প্রশাসনের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-