টেকনাফ সংবাদদাতা :
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বস্তাবন্দী শিশুর লাশ উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর ঘটনার মোটিভ উদঘাটনসহ মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেপ্তার নুর হাফেজ (২৬) টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়ার মো. আইয়ুবের ছেলে। এর আগে সন্দেহভাজন আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছিল।
র্যাব-১৫’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবুল কালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে ভিকটিম তাহমিনা আক্তার (৭) মাদ্রাসায় গিয়ে স্কুলের পাশে খেলাধুলা করার সময় একই ওয়ার্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা নুর হাফেজ তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার ইজিবাইকে (টমটম) করে এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। মূলত নুর হাফেজ উক্ত ভিকটিমের কানে থাকা স্বর্ণের দুলের লোভে তাকে নিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। দুল দুটি তার কান থেকে নিয়ে নিলে ভিকটিম তার বাবা-মাকে ঘটনা বলে দেবে এমনটা বললে- তখন ঘাতক নূর হাফেজ চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। তখন ভিকটিম বেশি নাড়াচাড়া করলে বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে রেখে দেয় এবং সন্ধ্যা হলে সে বস্তাবন্দী লাশটি রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
র্যাব উক্ত হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ছায়া তদন্তসহ ঘাতকদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ২২ সেপ্টেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানাধীন শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার আসামি নুর হাফেজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-