স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ কথিত সমন্বয়ক লাদেনে’র বিরুদ্ধে

কক্সবাজার প্রতিনিধি •

কক্সবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধি বা সমন্বয়ক শাহেদ মোহাম্মদ লাদেনের বিরুদ্ধে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পর স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ার অভিযোগ করেছেন টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার এক তরুণী।

তার অভিযোগ, স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় কক্সবাজার সদরের হাজিপাড়া এলাকার একটি ইজিবাইকের গ্যারেজে এনে বেঁধে নির্যাতন করেছেন শাহেদ মোহাম্মদ লাদেনসহ তার সহযোগীরা। সেই মারধরের ক্ষত ছবিতে স্পষ্ট।

ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি- দীর্ঘদিনের প্রেমের সুত্র ধরে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট তাকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বস্ত করে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হন৷ তারপর ১৮ আগস্ট কক্সবাজার পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্টার মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুইজন। কিন্তু নানা তালবাহানা করে স্ত্রী হিসেবে তাকে ঘরে তুলে নেননি সদরের হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে শাহেদ মোহাম্মদ লাদেন। পরবর্তীতে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য দফায় দফায় সামাজিকভাবে চেষ্টা করে তরুণী। কিন্তু কোন সঠিক বিচার না পাওয়ায় লাদেনের বাড়িতে যাবার চেষ্টা করলে পাশের একটি ইজিবাইকের গ্যারেজে নিয়ে বন্দি করে বেঁধরক মারধর করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী সেই থেকে এখন পর্যন্ত নিজের বাবার বাসায় অবস্থান করার কথাও জানান তিনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহেদ মোহাম্মদ লাদেন মুঠোফোনে জানান- তাকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। তাকে নির্যাতনের প্রশ্নয় আসে না। আমার এখন নতুন সংসারে একটা বাচ্চাও আছে। ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। সে আমাকে ফাসিয়েছে। ফাসানোর জন্যই এসব করছে সে।

প্রসঙ্গত- অভিযুক্ত লাদেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত। এছাড়া তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারের একাংশের স্থানীয় প্রতিনিধি বা সমন্বয়ক। এছাড়া তিনি কক্সবাজারের জামায়াত নেতা বিপি বাহাদুরের ভাতিজা হন। যারফলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে।