টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
ভয়ংকর ইয়াবার বিস্তার ঘটিয়ে আব্দুর রহমান বদি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক মাদক গডফাদারের খেতাব, আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য গত ১৭ বছরে নিজের নির্বাচনী এলাকাকে পরিণত করেছেন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে।
বদি যদি রাজা হন তাহলে মাদক,চোরাচালান, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হত্যার সহ নানা অপরাধে কুখ্যাত এই রাজ্যের সেনাপতি হিসেবে আসবে টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের নাম।
গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে বদি ম্যাজিকে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া জাফর মাত্র দুই মাস পর সরকার পতন হলে ১৯ আগস্ট স্বপদ থেকে অপসারিত হন।
স্বৈরাচার পরবর্তী সময়ে সর্বশেষ ১২ আগস্ট অনুষ্ঠিত টেকনাফ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জাফর’কে প্রধান অতিথির আসনে দেখা যায়।
যদিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন টেকনাফে সহিংসতার নেতৃত্বে ছিলেন জাফর, গত ১৮ আগস্ট দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামী তিনি।
মামলায় বদি র্যাবের হাতে চট্টগ্রামে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে বন্দি, গা ঢাকা দিয়ে থাকা জাফরের নেই কোনো হদিস।
- সীমান্ত ‘মাফিয়া’ জাফরের উত্থান যেভাবে
মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা টেকনাফ সদর ইউপির লেঙ্গুরবিল গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আহমেদের পুত্র জাফর প্রথম জীবনে ছিলেন শ্রমিকনেতা নামধারী দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ।
আরাকান সড়ক হয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরমুখী সব বাণিজ্যিক ট্রাক’কে কেন্দ্র করে রমরমা চাঁদাবাজি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা জাফর অবৈধ টাকার ও সন্ত্রাসী চাদাবাজদের ক্ষমতার জোরে একসময় নির্বাচিত হন ইউপি সদস্য।
পরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হয়ে যান তিনি। কালের পরিক্রমায় নানা রুপে আবির্ভূত হয়ে শুধুই বেড়েছে জাফরের অপরাধ এবং বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেফতার হলে কারাগারে থাকাকালীন বদির সাথে গড়ে ওঠে সখ্যতা, আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে শুরু হয় জাফরের নতুন অধ্যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হয়ে দলটির সমর্থন ও বদির ছত্রছায়ায় চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে প্রথমবার উপজেলা চেয়ারম্যান হন জাফর।
পরেরবার পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হলেও জাফর কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য হয়ে ক্ষমতাসীন পদ ধরে রাখেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-