রামুতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান মেটাচ্ছে সবজির চাহিদা!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

রম্য ভুমি রামু উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে পারিবারিক পুষ্টি বাগানে সফলতা পাচ্ছে কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও বীজ নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা ও অনাবাদি জমিতে বিভিন্ন সবজি বাগান করছেন কৃষকেরা। এতে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে লাভবানও হচ্ছেন তারা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এসব বাগান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের। দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণও। এতে প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এদিকে সবজি চাষে পরিবারে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

রাজারকুলের বৈদ্যরখিল গ্রামের কৃষক নির্মল বডুয়া বলেন,”বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করার ফলে নিজেরাই পরিচর্যা করছি। পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করতে বাইরে থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে না।

ফতেখাঁরকুল হাইটুপির কৃষানী রুবিনা আক্তার বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ মতে চাষাবাদ করে নিজের পারিবারের পুষ্টি চাহিদা পুরন করে, বাজারেও বিক্রি করতে পারছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় ১১টি ইউনিয়নে ৩৫০টি পুষ্টিবাগান করা স্হাপন করা হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ অঞ্চলের বসতবাড়ির আঙিনা, বাড়ির আশপাশ, স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত স্থানে সবজির চাষ হবে। সেই সঙ্গে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য কৃষক পরিবারগুলাতে ২০ ধরনের বীজ ও ৬ প্রকার জৈব ও রাসায়নিক সার , উন্নত মানের নেট, ঝাঝরি, বিতরণ করা হয়েছে। এতে বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠবে পুষ্টিবাগান।

রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানজিলা রহমান বলেন,” তিন বছর মেয়াদী পুষ্টি বাগান প্রকল্পে উপজেলায় ৩৫০টি পুষ্টি বাগান করা হয়েছে। বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। পুষ্টি বাগানের দিকে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষকেরা নিজ থেকে পুষ্টি বাগানের প্রতি উদ্ধুদ্ধ হয়ে বীজ ও সার সংগ্রহ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। উপজেলার কৃষক-কৃষাণীদের কৃষি সম্পর্কিত যেকোনো সেবা প্রদানে কৃষি অফিস বদ্ধপরিকর।”

আরও খবর