ফের বেপরোয়া মটর শ্রমিকলীগ নেতা ইয়াবা দিদার

বিশেষ প্রতিবেদক :


দিদার ওরফে ইয়াবা ডন দিদার। পুরো নাম মো, দিদারুল আলম দিদার। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া দরগাহ পূর্ব মোক্তারকুল এলাকার বাসিন্দা দানু মিয়ার ছেলে দিদার। সে আগে পেশাদার ডাকাত ছিলো। পরে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ে। ইয়াবা দিদার আইনশৃঙ্খলা বাহির হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। মাসখানিক পর জেল থেকে বেরিয়ে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ ইয়াবা ডন দিদারুল আলম দিদার ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল কুমিল্লায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দিদারসহ দুইজনকে ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব ১১ এর একটি টিম। এই দিদারুল আলম নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কর্মকাণ্ড করতেন। কখনো মটরশ্রমিকলীগ নেতা আবার কখনো ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন। তার বিরুদ্ধে কক্সবাাজর সদর মডেল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ইয়াবাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এই দিদারুল আলমকে শেল্টার দিচ্ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তাদের ছত্রছায়ায় অপরাধকর্মকাণ্ড আরো কয়েকগুন বেড়েছিলো।

ডাকাতি ও জমি দখল থেকে শুরু করে অস্ত্র বাণিজ্য, খুচরা ও পাইকারী ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলো দিদার।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী দিদার আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া একাধিক অস্ত্র ও ইয়াবা মামলার এ আসামি বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারজুড়ে শীর্ষ মাদক কারবারি ইয়াবা দিদারের রয়েছে বিশাল একটি মাদক সিন্ডিকেট। বিগত কয়েক বছর থেকে এই মাদকের জমজমাট ব্যবসা করছেন দিদার।

স্থানীয়রা জানান, দিদারের ইয়াবার ব্যবসা গোটা দেশজুড়ে। দিদারকে মাঝে মধ্যে এলাকায় দেখি গেলও বেশিভাগ রাতের গাড়িতে করে ঢাকা যেতে থাকে। এ নিয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীরা তার বিরুদ্ধে ‘টু’ শব্দটি করার সাহস ও শক্তি পর্যন্ত হারিয়েছে। কারণ প্রতিবাদ করলে নানা হুমকী ধমকি দিয়ে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত দিদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, শুধু আমার পেছনেই কেন লেগে থাকছো। আমার বিরুদ্ধে নিউজ করে কিছুই করতে পারবেন না বলে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়।

আরও খবর