ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল :
টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে আনুমানিক ১০হাজার মানুষ। তবে পানিবন্দি মানুষের বাড়িতে এখনো পর্যন্ত পৌঁছেনি কোনো সরকারি সহায়তা। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে।
সরেজমিনে রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না,সাদৃকাটা,পশ্চিম খোন্দকারপাড়া কোর্টবাজার উত্তর স্টেশনের একাংশ,জালিয়াপালং ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়া, চরপাড়া, লম্বরীপাড়া, সোনাইছড়ি, নিদানিয়া, ডেইলপাড়া,মো.শফিরবিল, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ কোলালপাড়া, গোরাচান মাতবর পাড়া, চৌধুরী পাড়া,রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া খালকাঁচা পাড়া,হিজলিয়া স্টেশনের পাশ্ববর্তী এলাকা, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী, গৌজঘোনা, হাকিমপাড়া, তাজনিমারখোলা,পণ্ডিতপাড়া সহ উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে দেখা যায়।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ৮শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম। এছাড়া জালিয়াপালং, রাজাপালং সহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধ্বসের খবর পাওয়া গেছে। তৎমধ্যে জুম্মা পাড়া এলাকার বনভূমিতে বসবাসরত শতাধিক পরিবার পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
ভারী বর্ষণে উখিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী বন্যা কবলিত এলাকায় জনসাধারণের খোঁজখবর নিতে দেখা যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাউছার আহমেদ মুঠোফোনে কক্সবাজার জার্নালকে বলেন,”সরকারি হিসাব অনুযায়ী পাঁচ ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায়, এ পর্যন্ত আনুমানিক ১০হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩৫টি বাড়িঘর। এখনো পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার তথ্য সংগ্রহ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সহায়তা প্রদান করা হয়নি।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-