বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও শতাধিক সদস্য

টেকনাফ প্রতিনিধি :

আগে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা/ফাইল ছবি

মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ফের বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশসহ (বিজিপি) নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য। জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে তারা কক্সবাজারের টেকনাফে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্য সে দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যও রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোর থেকে টেকনাফ সীমান্তের সাবরাংয়ের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাদেরকে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা হেফাজতে নেন। কিন্তু এ বিষয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্য অনুপ্রবেশ করেছে বলে স্বীকার করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ফের নতুন করে সে দেশের বিজিপির সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। তারা আমাদের বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের হেফাজতে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে।

এদিকে বুধবার রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিকট শোনা গেছে টেকনাফ সীমান্তে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শব্দ কমেছে।

তবে নতুন করে কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে সার্বক্ষণিক বিজিবির সদস্যরা টহল দিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।

সীমান্তের বাসিন্দারা বলছে, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলার বিকট শব্দ কম পাওয়া গেছে। তবে গতকাল রাত থেকে ব্যাপক শব্দে বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে। এদিকে, নিরাপত্তার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর সীমান্তে একটু শান্ত হয়েছে। আজকে সকাল থেকে কোনও গোলার শব্দ পাওয়া যায়নি। যদি গভীর রাতে গোলার বিকট শব্দ না আসে তাহলে অন্তত একদিন শান্তিতে ঘুমানো যাবে। তবে শুনেছি সেদেশের কিছু লোকজন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফের নৌ-পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, আজকে তেমন গোলার শব্দ পাওয়া যায়নি। অন্যদিনের চেয়ে সীমান্ত সকাল থেকে শান্ত রয়েছে। তবে আমরা সীমান্তে প্রতিনিয়িত নজরদারি রাখছি, যেন নতুন করে কোন অনুপ্রবেশ না ঘটে।