নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কাশিয়ার বিল শেখ পাড়া এলাকায় রোববার দুপুরে ভিটার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন সৈয়দ আলম ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে জাবেদ হোসাইন জিশান ও মুজিবুর রহমান। তাঁদের উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের পুত্র সিরাজুল কবির, তার স্ত্রী আরেফা বেগম ও তাদের তিন ছেলে এনামুল কবির টিপু, রেজাউল করিম মিন্টু, হেলাল উদ্দিন ও তাদের সহযোগীরা এ হামলা চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজাপালংয়ের কাশিয়ার বিল এলাকার সাবেক মেম্বার মৃত দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর স্থানীয় বৈঠকের মাধ্যমে তার সম্পত্তি ছেলেদের মাঝে বন্টন হলে যে যার মত ভোগ দখল করে আসছিল।
কিন্তু মৃত দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে সিরাজুল কবির স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পড়ে তাদেরই আপন ছোট ভাই ছৈয়দ আলমের সম্পত্তির উপর কুনজর ফেলে ও তার জমি দখলের পায়তারা করে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমনকি নিজ বসত ভিটায় যেতেও বাধা সৃষ্টি করে। পরে বাদীপক্ষ এসবের থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় ও পারিবারিকভাবে শালিসি বৈঠকে বসলেও সিরাজুল কবির দাপট দেখিয়ে তা অমান্য করে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
তারই ধারাবাহিকতায় রোববার (২ জুন) দুপুরে দলবল নিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা করে। এসময় তাদের বাঁধা প্রদান করলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছৈয়দ আলম ও তার স্ত্রী এবং ছেলেদের আহত করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রক্তাক্ত ছৈয়দ আলম জানান, সে আমার আপন ভাই হলেও আমার সম্পত্তি দখল করার জন্য দীর্ঘদিন আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করে রেখেছি এবং কয়েকবার শালিসি বৈঠকও হয়েছিলো। কিন্তু তারা কোনো বিচার মানতে নারাজ। সর্বশেষ রোববার দুপুরে দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে আমার ভিটার অনধিকার প্রবেশ করে বাড়ির ঘেরা-টেংরা ভাংচুর শুরু করে। এমতাবস্থায় আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে কুপিয়ে জখম করে। পরে আমার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে।
ছৈয়দ আলম জানান, তারা আমাকে হুংকার দিয়ে বলে তারা অনেক প্রভাবশালী তাদের বিরুদ্ধে আমি কিছুই করতে পারবো না। যদিও করি তবে আমাদের যেখানে পাবে সেখানেই মারবে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
তিনি আরও জানান, গত ২০ সালের আগষ্টের ২৬ তারিখ এবং ২৩ সালের ৩ আগষ্ট তারা একিভাবে আমার ও আমার পরিবারের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছিলো। এখন পূণরায় আবার বর্বরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে,জায়গা দখলে নিতে একটি পরিবারের উপর বারবার সন্ত্রাসী হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন উখিয়ার নাগরিক সমাজ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-