নিজস্ব প্রতিবেদক :
উখিয়ার ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন আলাদিন গ্যাস পাম্পের বিরুদ্ধে গ্যাস কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টি.আর.এক্স নামে পরিচিত একটি হাইস গাড়িতে গ্যাস ঢুকানোর সময় গ্যাসের ট্যাংকের তুলনায় ১০ লিটার বেশি ডুকেছে বলে বিল আদায় করায় মুহুর্তেই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। পরে জিপ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভাই ওই হাইস গাড়ির ড্রাইভারকে পাম্প অফিসে নিয়ে অতিরিক্ত ১০ লিটার গ্যাসের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাকে অফিসে বসিয়ে রাখেন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ওই জনপ্রতিনিধির ভাই সমাধান হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ড্রাইভারের সাথে কথা বলতে না দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
আলাদিন গ্যাস পাম্পে নয় – ছয়ের অভিযোগ তুলে একজন ভুক্তভোগী ড্রাইভার বলেন, ৬০ লিটার গ্যাস ট্যাংকে২০লিটার থাকার পরেও গ্যাস ডুকে ৫০ লিটার, ১৩০ লিটার খালি ট্যাংকে গ্যাস ডুকে ১৪০ লিটার। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা করে পাম্প কর্তৃপক্ষ।
পরে আমি বুঝতে পেরে ট্যাংক খালি করে অন্য পাম্প থেকে গ্যাস ঢুকানোর পর ১৩০ লিটার ট্যাংকে ১৩০ লিটার বা ১৩০.২৮ পর্যন্ত গ্যাস ঢুকে। পরে অতিরিক্ত গ্যাসের বিল দিতে না পারায় তার বেতন থেকেও গ্যাস বিল দিতে হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ড্রাইভার।
এব্যাপারে জানতে উখিয়া নোহা- মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্যাস পাম্পের অনিয়মের কথা স্বীকার করেন।
গ্যাস ট্যাংকের গায়ে লিখা অনুযায়ী ১৩০ লিটার থাকলে ১৪০ লিটার গ্যাস ঢুকবে না, বরং ১৩০ বা এর চেয়ে কম ডুকবে বলে জানান শফি। মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে গ্যাস পাম্পের ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয়েছে এবং বর্তমানে টেকনিশিয়ান দ্বারা পাম্পের মেশিন চেক করে ঠিক করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বিষয়টি তদন্ত করে এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-