নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া :
কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকায় নিজ বসতভিটায় অসহায় অবস্থায় দিনতিপাত করছে হামিদুর রহমান ও তার পরিবার।
সরকারি বনভূমি দখল করে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামিদুর রহমানের পরিবারকে হামলার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার গোরা মিয়ার ছেলে আলী আজম, শফিউল আজম ও শহিদুল্লা,বদিউল আলমের ছেলে ছৈয়দ নুর ও ইউছুপ নুর,শামসুল আলমের ছেলে নুরুল আবছার ও বাবুল আবছারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা অর্থাৎ বনভূমি নিজেরা দখলে নিয়ে তার বিক্রির জন্য মরিয়া হয়ে উঠে আলী আজমের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
এলাকায় নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রুপ দ্বারা প্রতিনিয়ত হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে আলী আজম এমনটি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ দুপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়ে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন,জান্নাতুল বকিয়া লাকি ,শারমিনা শারমিন জানু ,আলমাস খাতুন ,জান্নাতুল ফেরদৌস রুমা ,শামসুল আলম। ঘটনার পরেরদিন ১৭ই মার্চ আহত জান্নাতুল বকিয়া লাকী বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়ের করার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
উল্টো আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে জানিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন,”আমরা বের হতে পারছিনা। তারা সবসময় হুমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পাশাপাশি তারা এ-ও বলছে আমরা মামলা করে তাদের কিছুই করতে পারবো না। কারণ প্রশাসনের তাদের হাতের মুঠোয়। এমনকি রাতের বেলা বাড়িতে ইট পাটকেল ছুঁড়ে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে এবং চলাচলের কাঠের ব্রিজের গাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যেনো স্বাধীন দেশে পরাধীন আমরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।”
এদিকে, আসামিরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন মামলার বাদী জান্নাতুল বকিয়া লাকী।
যার ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা জানিয়ে তিনি বলেন,”তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর বারবার হামলা করে আসছে। মামলার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করে হুমকি দিচ্ছে। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সহ আসামিদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ঘটনায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোহাম্মদ শাহজাহান মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-