আবু সায়েম, কক্সবাজার :
কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের যৌথ উদ্যোগে বনবিভাগের হলরুমে আন্তর্জাতিক বন দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।
২১ মার্চ ( বৃহস্পতিবার) ” উদ্ভাবনায় বন, সম্ভাবনায় বন” এ প্রতিপাদ্য স্লোগান কে সামনে রেখে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের হলরুম কক্ষে সকাল ১১ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ হতে একটি র্যালি বের হয়ে বাহারছড়া পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের কার্যালয় এসে মিলিত হয়।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম।
এছাড়া কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক আনিসুর রহমান, নেকমের উপ- প্রকল্প পরিচালক ডঃ শফিকুর রহমান, চ্যানেল আই এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সরওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দিপক শর্মা দিপু, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম রাশেদ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বন ও বনভূমি রক্ষার্থে বনায়নের গুরুত্ব ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আওতাধীন সুফল প্রকল্প কিভাবে বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর মাঝে ভূমিকা পালন করছে এসব বিষয় ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ৭৬ হাজার একর বনভূমি গতো বছর থেকে ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বনাঞ্চলে অবৈধ জবরদখল আছে কিনা! কেউ পাহাড় কাটছে কিনা! সবকিছু ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ” উদ্ভাবনায় বন, সম্ভাবনাময় বন”এ স্লোগান কে সামনে রেখে বনবিভাগ কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ প্রতিপাদ্যের আওতায় সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে অনলাইনের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, হারিয়ে যাওয়া গাছগুলোকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে । তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বৈলাম। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন সকল রেঞ্জের মাধ্যমে ৬ হাজার একর বনভূমি সৃজন করা হয়েছে ।
সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের আওতাধীন সুফল প্রকল্প বন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর মাঝে ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করেছে। যারা বনের গাছ কাটতো,লাকড়ি সংগ্রহ করে সংসার চালাতো আজ সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা স্বাবলম্বী। তাদের মধ্যে কেউ গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি পালন করছে, আবার কেউ ইজি বাইক চালাচ্ছে। সুফল প্রকল্প তাদের এ সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সুফল প্রকল্প চালু হওয়ায় বন ও প্রকৃতি রক্ষা হচ্ছে ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন সকল রেঞ্জে ৯ হাজার একর বনভূমি সৃজন করা হয়েছে। বনাঞ্চল সহ সবকিছু এখন আমরা ড্রোনের মাধ্যমে
পর্যবেক্ষণ করছি। সরকারের পাশাপাশি, স্থানীয় জনসাধারণসহ সকলকে বন, বনভূমি ও প্রকৃতি রক্ষায় আরো গভীরভাবে সংযুক্ত হতে হবে ।
উক্ত আলোচনা সভায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ, সহকারী বনসংরক্ষক শীতল পাল, সহকারী বনসংরক্ষক মনিরুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমা, সকল রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-