উখিয়া প্রতিনিধি :
উখিয়ায় আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে বোরো ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা মাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দমন করছেন কৃষকেরা।
উখিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কৃষকেরা ক্ষেতে আলোক ফাঁদ স্হাপন করেছেন।এতে কমছে কীটনাশকের ব্যবহার,বাড়ছে ফলন।
উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ১৫ টি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্হাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ পদ্ধতিতে ক্ষেতের পোকামাকড় দমনসহ ধানে ক্ষতিকর কী কী পোকা আক্রমণ করে সেটি জানা যায়।
এছাড়া সেটি পর্যবেক্ষন ও শনাক্ত করা হয়।
সরেজমিনে রত্নাপালং ইউনিয়নের বোরো ক্ষেতে দেখা যায়, ক্ষেতের আইলে তিনটি খুঁটি বসানো হয়েছে। এর উপর বৈদ্যুতিক বাতি ঝোলানো। বাতির নিচে একটি পানি ভর্তি পাত্রে রাসায়নিক ও ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি। বাতি জালানোর পর ক্ষতিকর পোকা এসে পানিতে পড়ে মারা যায়।
কৃষক মীর কাশেম বলেন,আলোক ফাঁদ সহজলভ্য পদ্ধতি। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এর মাধ্যমে কৃষকের খুব সহজেই ক্ষেতের পোকামাকড় নির্ণয় করে নিধন করতে পারে।
উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন বলেন, আলোক ফাঁদ ব্যবহার কমছে কীটনাশকের ব্যবহার, বাড়ছে ফলন।ধানের শীষ বের হওয়ার পর ক্ষতিকর ঘাসফড়িং, মাজরাসহ কয়েক প্রজাতির ক্ষতিকর পোকা ক্ষেতে আক্রমণ করে। মূলত ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হয়।এ পদ্ধতি ধান কাটা পর্যন্ত চলবে।
কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, এটা পরিবেশবান্দব পোকা দমন পদ্ধতি।
আলোক ফাদ স্থাপনের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকামাকড় উপস্থিতি নির্ণয় করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট মাঠের জমির পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা জন্যে কৃষকদের মাঝে পূর্বাভাস দেয়া হয়। এতে করে কৃষক ভাইরা ধানের জমিতে যথাসময়ে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির হাত রক্ষা করতে পারছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-