গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল :
কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পার্শ্ববর্তীদেশ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে মাদকের ভয়াল আগ্রাসন।
বিগত কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারে উৎপাদিত মরন নেশা ইয়াবা, আইস এবং হরেক রকমের মদ,বিয়ার বড় বড় চালান বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করে আসছে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানকারী চোরাকারবারী দলের সদস্যরা হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের টাকার লোভে ফেলে মাদকের পাচার আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
আবার তাদেরকে বাহক বানিয়ে সল্প সময়ে কোটি টাকার মালিক হচ্ছে ভদ্রতার আড়ালে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা। আর প্রতিনিয়ত মাদকের চালানসহ সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে- হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা।
এদিকে গত বিদায়ী বছর ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মিয়ানমারে দু’পক্ষের চলমান সংঘাত শুরু হয়েছিল। যা এখনো চলমান রয়েছে।
সীমান্তের ওপারে দু’পক্ষের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এপার সীমান্তে দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি দেশের সীমান্ত সু-রক্ষা করার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোর অবস্থান নিয়োজিত রয়েছে।
অথচ এই চলমান সংঘাতের মধ্যেও ওপার সীমান্ত অতিক্রম করে পাচার হয়ে এপার সীমান্তে প্রবেশ করছে মাদকের চালান।
তারেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ সীমান্তে কর্মরত কোস্টগার্ড সদস্যরা অত্র উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ গোলাপাড়া এলাকা থেকে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস,২৪০ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে উক্ত অভিযানে কোন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি মাদক বিরোধী অভিযানটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি প্রেস বার্তায় জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড জানতে পারে শাহপরীর দ্বীপ নাফনদ সংলগ্ন গোলাপাড়া ঝাউবন এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান পাচার হবে।
উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী কোস্টগার্ড’র অভিযানিক দল ভোর রাত ৩টার দিকে গোলাপাড়া ঝাউবন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে । এরপর গোলাপাড়া নাফনদীর পুর্বপাশ থেকে ১টি স্পিড বোট থেকে ২ জন ব্যক্তি ৩টি বস্তা নদীর পাড়ে নামিয়ে পরবর্তীতে বস্তাগুলো নিয়ে ঝাউবনের দিকে যেতে দেখা যায়।
এসময় অভিযানিক দলের সদস্যরা টর্চ ও বাঁশির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিদের থামাতে সংকেত দিলে ব্যক্তিদ্বয় বস্তা ৩টি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারে স্পিড বোট যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড সদস্যরা ফেলে যাওয়া ৩টি বস্তা থেকে ১কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ২৪০ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার জব্দ করতে সক্ষম হয়।
জব্দকৃত বিয়ার ও ক্রিস্টাল মেথ আইসের চালানটি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান কোস্টগার্ড এই কর্মকর্তা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-