মিয়ানমারের ২৩ নাগরিকের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা: কারাগারে প্রেরণ

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :


মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জের ধরে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের ২৩ নাগরিককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।

তিনি জানান, এ সংক্রান্ত মামলায় বিভিন্ন ধরনের ১২-১৫ টি অস্ত্রও বিজিবির পক্ষে পুলিশকে দেয়া হয়েছে। মামলাটি লিপিবদ্ধ করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল আশরোকি বলেন, মিয়ানমারের ২৩ নাগরিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তথ্য সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ও রাতে সীমান্ত দিয়ে কিছু অস্ত্রধারীরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল। যদিও এর মধ্যে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের কিছু সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন , মঙ্গলবার রহমতবিল, আনজুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে অনেকে পালিয়ে এসেছে। এদের বেশিভাগই বিজিবি হেফাজতে অস্ত্র জমা দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে আরও ৩০ জনের বেশি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এদের বিজিবি হেফাজতে দিয়েছে বলে জানা গেছে । এর বাইরে কিছু অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার তথ্য বিভিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আলতাজ হোসেন জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে থাকছে বলে শোনা যেত। রহমতবিল সীমান্তের ওপারে এসব সন্ত্রাসী আস্তানা করেছিল। সংঘর্ষের পর সেই গোষ্ঠীটি অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ করে ক্যাম্পে এসেছে । মঙ্গলবার ভোর ও রাতে এ গোষ্ঠীর অন্তত ৫০-৬০ জন অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে গেছে। যদিও একই চক্রের ৩০-৩৫ জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সোপর্দ করেছে।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের সহঅধিনায়ক পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার বিষয়টি জানি না। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান নবী হোসেন ও তার সদস্যরা মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের তথ্য জানা গেছে। সে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সর্তকতা পালন করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া মাত্রই গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া ক্যাম্পে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এপিবিএন সজাগ রয়েছে।

আরও খবর