কক্সবাজার প্রতিনিধি :
মিয়ানমারে সংঘাতকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত বান্দরবান সীমান্তে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর ৩৩০ সদস্য পালিয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে বিজিপির ১০০ সদস্যকে কক্সবাজরের টেকনাফে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গাড়িতে তাদের টেকনাফে নেয়া হচ্ছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ কমেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা গেলেও অনেকটা বন্ধ রয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ। এ পর্যন্ত বিজিপি, সেনা সদস্যসহ মিয়ানমারের মোট ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে বুধবার ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
এ সময় তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে বিদ্রোহী ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়ে উঠেছে। একের পর এক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক বাহিনী। লড়াইয়ের আঁচ লাগছে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশেও। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার উখিয়ায় আহত হয়েছেন সাতজন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-