কক্সবাজারের উখিয়ার ঘুমধুম সীমান্ত এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন একত্রিত হয়ে হামলা করছে সেনা,বিজিপি এবং জান্তা সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর।আহত এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন!
এতে আমাদের উদ্বীগ্ন হওয়ার কথা ছিলনা!
২০১৭ সালে যে ভাবে জান্তা সরকারের আজ্ঞাবহ পেটোয়া বাহিনী নির্বিচারে মসুলমানদের হত্যা,ধর্ষণ,লুটপাট করে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধ্য করেছিল সেই রেশ কাটিয়ে উঠার আগেই এই অসভ্য রাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ আমাদের সার্বভৌমত্বেকে আবারো হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
যাদের স্প্রিন্টারের বুলেটে রক্তাক্ত হয়েছিল রোহিঙ্গা মুসলিম,যাদের অসভ্য আচরণে ধর্ষিত হয়েছিল নির্যাতিত মা-বোন,যাদের হাত থেকে বাচঁতে লক্ষলক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ হয়েছে বাংলাদেশে -সেই বর্বর বাহিনীর সৈন্য সামন্ত এখন নিজেদের জীবন বাচাঁতে হরহামেশাই অস্ত্র সহ প্রবেশ করছে সীমান্ত কাটাঁ বেধ করে আমাদের ভূ-খন্ডে।রাত্রি যাপন করছে আমাদের সীমান্ত এলাকার মানুষের বাড়িঘরগুলোতে।
এখানেই আমারা চরমভাবে উদ্বীগ্ন হচ্ছি!কারণ মায়ানমারের আভ্যন্তরীণ সমস্যায় সীমান্ত এলাকার গুলাগুলির বেশিরভাগ গুলি,বোমা আমাদের ভূখন্ডে এসে পড়ছে।যার দরুন প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে আমাদের দেশের নাগরিক।যা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পুর্ন পরিপন্থী।
বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে আশ্রয় দেওয়ার পর এখনো দৃশ্যমান কোন সম্ভাবনার উদয় হয়নি যে,নিজ ভূখন্ডে তাদের আদৌ ফেরত নেওয়া হবে?বিশ্বের পরাশক্তি রাষ্ট্রগুলো আমাদের ভূখন্ড ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা জিয়ে রেখেছে!
এখন নতুন করে আরেকটা সমস্যার সৃষ্টি আমাদের সন্দিহান করছে।অস্ত্রসহ মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির অনুপ্রবেশ আমাদের ইশারা করতে বাধ্য করছে এসব নাটক আন্তর্জাতিক গেমের সাজানো নতুন অংশ!?তারা আসলে কি চাই?আমাদের সার্বভৌমত্ব কি তাদের জন্য চিন্তার কারণ হয়েছে?এসব প্রশ্ন এখন স্থানীয় এবং দেশপ্রেমি মানুষের মাথায় চিন্তার ভাজ ফেলেছে।
একদিকে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর গ্লানি অন্যদিকে স্বৈরশাসকের পেটুয়া বাহিনীর অনুপ্রবেশ স্থানীয় জনগণকে চরমভাবে আতংকিত করছে।এসবের পরিত্রাণ চাই সীমান্ত এলাকার মানুষ।আর কোন নিরীহ বাঙ্গালীর প্রাণ যেন না ঝরে স্বৈরশাসকের পেটুয়া বাহিনীর বুলেটের আঘাতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আর্জি- ২০১৭ সালে আপনার ডাকে ছাড়া দিয়ে উখিয়া টেকনাফের মানুষ নিজেদের খাদ্য, বস্ত্র,অর্থ,বসতবাড়ি শেয়ার করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিল।আজ আশ্রিত সেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁডিয়েছে।অসভ্য রাষ্ট্রের মানুষগুলোর অশুভ পদচারণা আমাদের পরিবেশকে ভয়ংকর ভাবে ভারী করে তুলেছে।আমাদের কৃষ্টি,কালচার,শিক্ষা ব্যবস্থা এবং নৈতিকতা প্রায় ধ্বংস হতে বসেছে।ডাকাতি,হত্যা,ঘুম,পতিতাবৃত্তি এসব এখন আমাদের,দৈন্দিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে।আমরা এসবের পরিত্রাণ চাই।
মায়ানমার/রোহিঙ্গা এই বর্বর জাতির আক্রোশ থেকে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ভাবে তাদেরকে একঘরে করার জন্য আমাদের পলিসি জোরদার করতে হবে।
পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এই সীমান্তে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করে দেশের মানুষকে এবং সার্বভৌমত্বেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনে অতীব প্রয়োজন।
আসুন মাতৃভূমি রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি নিজেদের প্রস্তুত রাখি।
একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
- জয় বাংলা •
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-