আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। রবিবার গভীর রাত থেকে মুহুর্মুহু গুলি ও মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের ব্যাপক এই সংঘর্ষ চলছে। এ নিয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে সীমান্ত এলাকায়।
গতকাল (৪ ফেব্রুয়ারী) রোববার সকালে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে তুমব্রু এলাকার প্রবীর ধর নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার যুধিষ্ঠি ধরের ছেলে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, “ওপারে চলা সংঘর্ষের গুলি ও মর্টার শেল এপারের বাসিন্দাদের ঘর বাড়িতে এসে পড়ছে। গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত হন। এতে আতঙ্কে সময় পার করছে সীমান্তের বাসিন্দারা। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছেন।”
রোববার মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৫৮ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছে জমা রাখা আছে। বিজিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে ২ সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি ক্যাম্প থেকে কক্সবাজার আনা হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে কুতুপালং এর এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও মিয়ানমারে গোলাগুলি চলমান থাকায় তা বাদ দেন বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-