বান্দরবান প্রতিনিধি :
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে। ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলমান গোলাগুলিতে কম্পিত পুরো সীমান্ত এলাকা। গোলাগুলির ভয়াবহতা দেখে সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৫৮ জন সদস্য।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলির কারণে সকালে ১৪ দুপুরে ৬ ও বিকালে ৩৮ জনসহ মোট ৫৮ জন বিজিপি সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা সবাই তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ ছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম রবিবার রাতে জানান, এখন পর্যন্ত বিজিপির ৫৮ জন সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা এখন বাংলাদেশের বিজিবির হেফাজতে আছেন।
এদিকে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যেসব সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রবিবার বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার বিকালে ও রাতে সীমান্তের ওপারে রাখাইনের তুমব্রু রাইট পিলার ক্যাম্প এলাকা থেকে এলোপাতাড়ি গোলাগুলির শব্দ পান স্থানীয়রা। সকালে খবর আসে রাতের যুদ্ধে মিয়ানমারে বর্ডার গার্ড পুলিশের একটি ফাঁড়ি আরাকান আর্মির যোদ্ধারা দখল করে নিয়েছে। সেই ফাঁড়ির কিছু সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ বা আহত। তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিজিবি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-