সেন্টমার্টিনে নিমার্ণাধীন ১২ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) মতে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ১৩ টি এলাকার (ইসিএ) দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ইসিএ আইন মতে, এই দ্বীপে এমন কোন কাজ করা যাবে না যেখানে দ্বীপের পানি, মাটি, বায়ু বা প্রাণীর ক্ষতি করে। এখানে কোন প্রকার অবকাঠামো নির্মাণও করা যাবে না। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ২০২২ সালে সরকার ঘোষিত একটি প্রজ্ঞাপন। যে প্রজ্ঞাপনে সেন্টমার্টিনকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করে সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী এখানে ইট-সিমেন্ট আনাই নিষিদ্ধ। শুধু বাঁশ-কাঠ দিয়ে ইকো-ফ্রেন্ডলি অবকাঠামো করা যেতে পারে।

কিন্তু কে শুনে কার কথা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই দ্বীপে একের পর এক অবকাঠামো তৈরি অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের সম্প্রতি তদন্তে এরূপ ১২ টি স্থাপনা নিমার্ণের সত্যতাও পেয়েছে। যার জের ধরে গত ২৫ জানুয়ারি সেন্টমার্টিনের নিমার্ণাধীন ১২ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদফতর।

পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা ফাইজুল কবির বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় এই মামলাটি করেন। পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও সরকারে আদেশ অমান্য করার দায়ে এই মামলাটি করা হয়।

মামলায় ১২ প্রতিষ্ঠান ও মালিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হল, ট্রফিকানা বিচ রিসোর্ট এর মালিক শেখ ফরহাদ, জলকুটি রিসোর্টের মালিক ড.মমি আনসারি, দক্ষিণাহাওয়ার মালিক ফেরদৌস সাগর, আরণ্যক ইকো রিসোর্টের মালিক মোহাম্মদ খাইরুল আলম, মেঘনা বিচ ভিউ রিসোর্টের মালিক মোশারফ হোসেন, ডিঙ্গি ইকো রিসোর্টের মালিক মো. মোবাশ্বির চৌধুরী, জল কাব্য রিসোর্টের মালিক চপল কর্মকার ও চঞ্চল কর্মকার, গ্রীন বিচ রিসোর্টের মালিক আজিত উল্লাহ, সূর্য স্নানের মালিক ইমরান, সান্ড এন্ড সেন্ড টুইন বিচ রিসোর্টের মালিক ইমতিয়াজুল ফরহাদ, নোঙর বিচ রিসোর্টের মালিক সাজ্জাদ মাহমুদ, নীল হাওয়ার মালিক আবদুল্লাহ মনির।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা ফাইজুল কবির বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটি সংশ্লিষ্ট আইনে লিপিবদ্ধ করে পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজারকে তদন্তভার দেয়া হয়েছে।

মামলার বাদী পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক তদন্ত কর্মকর্তা ফাইজুল কবির জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সরেজমিনে তদন্ত শেষে প্রমাণ পাওয়ার পর এই ১২ প্রতিষ্ঠানের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আরও খবর