কক্সবাজার প্রতিনিধি :
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলি ও লুণ্ঠিত মাছসহ ৬ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৫। আটককৃতদের মধ্যে কুখ্যাত জলদস্যু সর্দার বাদশাও রয়েছে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের বাঁকখালী নদীর মোহনায় একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারকে গতিরোধের চেষ্টা করে। এ সময় জলদস্যুরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুেঁড়। র্যাবও পাল্টা গুলি করলে ৫-৬ জন জলদস্যু সমুদ্রে লাফ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
একপর্যায়ে র্যাব উক্ত ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জলদস্যুতার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র গোলাবারুদ ও লুণ্ঠিত মাছ অন্যান্য মালামালসহ ৬ জন জলদস্যুকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
এসময় জলদস্যুদের হেফাজত হতে ৩টি দেশীয় তৈরী এলজি, ১৪টি কার্তুজ, ৩টি ধারলো দা, ২টি স্মার্ট ফোন এবং ৮টি বাটন ফোন উদ্ধার করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার শহরের ফিসারীঘাটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজারস্থ র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে: কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানান।
অভিযানে গ্রেফতারকৃত হল, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহর ছেলে জলদস্যু সর্দার মোঃ বাদশা (২৭), চট্টগ্রামের ইপিজেড ৩৯ নং ওয়ার্ডের সাংনারি কলতলা এলাকার মোঃ আবু বক্করের ছেলে মোঃ আল আমিন (২৫), কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দক্ষিণ ধুরং জুলেকাবিবির মোঃ ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২২), একই থানার পেচারপাড়া এলাকার মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম (২০), একই থানার লেমশিখালীর রহিম উল্লাহর ছেলে মোঃ মারুফুল ইসলাম (২২) এবং একই থানার সাহারুম সিকদার পাড়ার মোঃ ইউনুছের ছেলে মোঃ রাফি (১৯)।
র্যাব অধিনায়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানিয়েছেন, ধৃত জলদস্যুরা স্বীকার করেছে পুরো এক সপ্তাহ ধরে তারা বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গডফাদাররা জলদস্যুদের অস্ত্র-গুলি এবং ট্রলারের যোগান দিচ্ছে। জলদস্যু সর্দার বাদশার নেতৃত্বে সাগরে মাছ লুটসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-