বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নে প্রকাশ্যে দিবালোকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে জমি দখলের চেষ্টা ও বাগানের গাছপালা ও বাঁশ কেটে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া এলাকার বাসিন্দা মনজুর আলমের বিরুদ্ধে। এতে সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বয়োবৃদ্ধ সাহাব মিয়া বাদী হয়ে উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজাপালং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পিনজিরকুল এলাকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ সাহাব মিয়ার দীর্ঘ ৫০/৬০ বছরের ভোগদখলীয় জায়গায় গত ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) দিনদুপুরে ভাড়াতে সন্ত্রাসী এনে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে সন্ত্রাসী হামলা চালান জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া এলাকার আলীমুদ্দিনের ছেলে মঞ্জুর আলম, তার ভাই আবদুল গফুর ও শফি আলম, আনু মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ ও তার ভাই আফাজ উদ্দিন, মৃত নজির আহমদের ছেলে আবদুল্লাহ, মৃত হাছন আলীর ছেলে আলাউদ্দিন, আবদুর রশিদের ছেলে মো. আলমগীর, মৃত আবদুল্লাহর ছেলে
বাবুল, মৃত নাজির হোসেনের ছেলে জাফর আলম, মৃত এরশাদ উল্লাহর ছেলে মনিরুল আলম মনির, রাজাপালং পিনজিরকুল এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে বাপ্পিসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮। এসময় ওই জায়গা দখল করতে ঘর ও ঘেরা টেংরা এবং বসত ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও বাগানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও বিপুল পরিমানে বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের ৪ জনকে মেরে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাহাব মিয়া বলেন, আমার ৫০/৬০ বছরের ভোগদখলীয় জায়গায় তারা অবৈধভাবে দখল নিতে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জানালে তারা আমাকে কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে মাই রাজি হয়ে ছেড়ে দেই। কিন্তু এর কয়েকবছর পর তারা আবারো আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জায়গার দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শেষমেশ গত বুধবার আমার জায়গায় সন্ত্রাসী এনে ঘর, ঘেরা টেংরা এবং বসত ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে আমি নিরুপায় হয়ে বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার জমি উদ্ধার ও ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয় সচেতন মহল এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকার জন্য বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে পর্যালোচনা করে যার জায়গা তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-