কক্সবাজারে পেশাজীবি চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আবু সায়েম, কক্সবাজার :

সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে কক্সবাজারে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “রিফ্রেশার কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সার্কিট হাউস সংলগ্ন অরুণোদয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ) মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, সড়কের যত দুর্ঘটনা, তার অধিকাংশ চালকের অদক্ষতার কারণেই ঘটে থাকে। অনেক চালক সরকারি আইন মানে না। জীবনের নিরাপত্তা স্বার্থে সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলতে হবে। তাহলে জীবন ও সম্পদ দুটোই বাঁচবে।সকল পেশাজীবি চালকদের দক্ষতার সাথে গাড়ি ড্রাইভিং’র বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কক্সবাজার সার্কেলের সহকারী পরিচালক উথোয়াইনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মোটরযান চালকদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শায়েলা লাভলী।

নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান।

তিনি ট্রাফিক সাইন, সিগন্যাল ও রোড মার্কিং এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর আওতায় বিভিন্ন অপরাধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে চালকদের অবগত করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিআরটিএ কক্সবাজার সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ। তিনি শব্দদূষণ, কালো ধোঁয়া নির্গমন, যানবাহনে ধূমপান ও মাদকাসক্তি, মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিধিনিষেধ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

আলোচনায় বিআরটিএ কক্সবাজার সার্কেলের সহকারী পরিচালক উথোয়াইনু চৌধুরী বলেন, আইন জানার পরও না মানার প্রবণতা অনেক চালকের অভ্যাস। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও উন্নত মানসিকতা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ফিটনেস বিহীন মোটরযান নিয়ে সড়কে বের হওয়া অনিরাপদ ও আইনত দণ্ডনীয়। মোটরযান মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা সম্পর্কে চালকদের ধারণা থাকতে হবে।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সকল চালকদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

‘আইন মেনে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’ প্রতিপাদ্যে বিআরটিএ কক্সবাজার সার্কেলের এই কর্মশালায় পেশাদার প্রায় ১০০ চালক অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে চালকরা অভিযোগ করেন, সড়কে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গতিসীমা লিখা নেই। হাইওয়ে পুলিশ গাড়ির কাগজপত্র চেক করার চেয়ে ‘টুকেন’ দেখে বেশি। নির্ধারিত টুকেন না পেলে মামলা ঠুকে দেয়। এ ব্যাপারে চালকদের আন্তরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রশিক্ষণার্থীরা।

আরও খবর