গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল :
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাদক কারবারি দম্পতির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে কক্সবাজার দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিরা হচ্ছে- টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়ন পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার মৃত খায়রুল বশরের পুত্র রশিদ আহমদ (৬৬) ও তার সহধর্মিনী মাহমুদা বেগম।
১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজারের পক্ষে সহকারী পরিচালক আকিব রায়হান বাদী হয়ে উক্ত মামলা দুটি দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী রশিদ আহমদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা করে জ্ঞাত আয়ের উৎস অনুসন্ধান করে অর্জিত সম্পদের মধ্যে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের সঠিক তথ্য পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে ২০২১ সালে তার প্রতি সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারীর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এরপর তিনি তার সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণপূর্বক দাখিল করলে তা দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ গত ১৫/০৩/২০২১ খ্রি.তারিখে গৃহীত হয়।
উক্ত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায় যে, আসামী রশিদ আহমদ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫১ লাখ, ৩ হাজার, ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেছেন।
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার কর্তৃক ৭৯,২৪,৫০০/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৮ লাখ ২১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য অসদুদ্দেশ্যে গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এছাড়া আসামী রশিদ আহমদ কর্তৃক উক্ত সম্পদ অর্জনের স্বপক্ষে বৈধ উৎস সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্র দাখিল করতে পারেন নি। আসামী রশিদ আহমদ একজন আত্মস্বীকৃত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পুলিশের নিকট আত্মসমর্পণ করেন ও দীর্ঘদিন যাবৎ জেল হাজতে আটক ছিলেন।
অপরদিকে একই অভিযোগে রশিদ আহমদের সহধর্মিনী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ পায় দুদক। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৪৬ লাখ, ৯ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় এবং ৩ কোটি,২৩ লাখ, ৯৯ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
উক্ত অপরাধে তার স্ত্রী বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন,২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলা গুলো তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-