প্রবা :
কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের বিকাশ বিল্ডিং এলাকায় রাতের আঁধারে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এক মাস ধরে মাটি কাটার খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে পাহাড়টির আনুমানিক ৭০ হাজার ঘনফুট মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে।
এসব মাটি বিক্রি করা হয় প্লট ভরাট কাজে। এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) অনুমতির অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশবিদসহ স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’-এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ।
তিনি বলেন, ‘ঝিলংজা মৌজার ১৭০৫০ দাগের জমিটি পাহাড় শ্রেণির জমি। একই সঙ্গে এটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা। কিন্তু কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের দোহাই দিয়ে সেখানে পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে সেখানে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণেরও কাজ চলছে। পাহাড় রক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, জেলার উখিয়া উপজেলার মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও কলাতলীর শাহ আলম এই পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘পাহাড়ি জমিটির মালিক উখিয়ার ইলিয়াছ। তিনি প্রবাসী। তার পক্ষে আমি স্থাপনা নির্মাণকাজ তদারকি করছি।’ পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন নিয়েই করা হচ্ছে।’ তবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোহাম্মদ ইলিয়াছকে পাওয়া যায়নি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমাদের জানাননি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘এ ধরনের হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে আমি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-