কক্সবাজার সংবাদদাতা:
কক্সবাজারে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এর ফলে ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১ হাজার একর বনভূমি ও কৃষিজমি। চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ। স্থানীয়দের দাবি ইজারা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে জেলা প্রশাসন, নেই কোনো তদারকি।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এক বছরের জন্য কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার মাছুয়াখালী বালুমহালের ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। ৪ দশমিক চার তিন একর জমি থেকে বালু উত্তোলনের শর্তে বালুমহালটির ইজারা নেন রামুর রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম। কিন্তু চুক্তির বাইরে গিয়ে ৫০টির বেশি ড্রেজার মেশিন ও এক্সক্যাভেটর বসিয়ে গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করছেন তিনি। এর ক্ষতিকর প্রভাব পাহাড়, খাল ও কৃষি জমিতে পড়ছে বলে জানান কক্সবাজারের পরিবেশবাদী নেতা জাহেদ হাসান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইজারার সীমানার বাইরে গিয়ে বনবিভাগ, খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন করছেন ইজারাদাররা। সম্প্রতি বনভূমি ও পাহাড়ি মাটি নষ্ট করে উত্তোলন করা বালু বন বিভাগ জব্দও করে বলে জানান কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জেররেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমান ।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইজারাদার শাহ আলম জানালেন, সরকারি নিয়ম মেনেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এদিকে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধেব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ।
সংরক্ষিত বনভূমি, পাহাড় ও কৃষি জমিসহ পরিবেশের ক্ষতি রোধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধ করার দাবি এলাকাবাসীর।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-