ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ফলে এখন বৈধ মনোনয়নপত্র রয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে মাঠের প্রতিবেদন একীভূত করে এমন তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বাতিল হয়েছে। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
ইসির তথ্য অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন বৈধ হয়েছে ঢাকা অঞ্চলে ৩১৭টি। এই অঞ্চলে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ১১৪টি। ঢাকায় মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ৪৩১ জন প্রার্থী।
এছাড়া সবচেয়ে কম মনোনয়ন বৈধ হয়েছে ফরিদপুরে ৮০ জন প্রার্থীর। বাতিল হয়েছে হয়েছে ২৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন। এই অঞ্চলে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন মোট ১০৩ জন প্রার্থী।
রংপুর অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল ২৭৮টি। এর মধ্যে বৈধ মনোনয়ন ২০৯ এবং ৬৯ জনের মনোনয়ন অবৈধ। কুমিল্লা অঞ্চলে মোট মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৩৫৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২৩৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। আর ১২০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন।
এ জন্য ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে নির্বাচন ভবনে। ১০ কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে।
তিনি আরও জানান, ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ করে আপিল শুনানি হবে ক্রমানুসারে।
আপিল আবেদনগুলো শুনানি শেষে ফল মনিটরে প্রদর্শন, রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানোর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া আপিলের রায়ের অনুলিপি নিম্নোক্ত শিডিউল মোতাবেক নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-