বিশেষ প্রতিবেদক :
আর
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ডিজিএফআই কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এ সময় সংগঠনটির আরও ৪৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বান্দরবানের মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত এই আদেশ জারি করেন।
এর আগে, দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত শেষে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলো আরসা। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরি করে অস্ত্রের কারখানা ও গোপন আস্তানা করেছিলো সংগঠনটি। শূন্যরেখার ওই আস্তানায় বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার পরিচালনা করতেন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিলো
‘গোল্ডেন আরাকান’ নামে অত্যাধুনিক একটি রেস্টুরেন্টও। আস্তানায় মাদক মজুদের খবর পেয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর (ডিজিএফআই) ও র্যাব যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানকালে আরসার গুলিতে নিহত হন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-