সরকারি অবকাঠামো সুবিধা ব্যবহারে যত্নের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি একটি প্রণিধানযোগ্য কাজ

আবু সায়েম, কক্সবাজার •

সরকারি অবকাঠামো সুবিধা ব্যবহারে যত্নের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি একটি প্রণিধানযোগ্য কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন মিজানুর রহমান ) অতিরিক্ত সচিব শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেল কক্ষের হলরুমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর উদ্যোগে যোগাযোগ কর্ম পরিকল্পনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং বংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে এলজিইডির অধীনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইএমসিআরপি প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয়দের জন্য যে অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তাতে সরকার অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এসব অবকাঠামো সুবিধা যত্নের সাথে ব্যবহার ও মালিকানাবোধ সৃষ্টি বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা একটি প্রণিধানযোগ্য কাজ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) এই প্রকল্পের জন্য যোগাযোগ ও সচেতনতা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়মিত কমিউনিটি ভিত্তিক নানান কার্যক্রম পরিচালিত করছে। বিসিসিপির সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর ও ইএমসিআরপির যোগাযোগ ও সচেতনতা কার্যক্রমের টিম লিডার আবু হাসিব মোস্তফা জামাল কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মামুন খান।

নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয়দের জন্য ইএমসিআরপি এর আওতায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে আসছে এলজিইডি। মানুষ এগুলো কীভাবে ব্যবহার করবে সেই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের হয়ে কাজ যচ্ছে বিসিসিপি। এসব উন্নয়ন সেবা সুবিধা গ্রহনের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণও জনগনের কাজ। তাদের ভাবতে হবে এই সম্পদের মালিক তারা। তাই নিজেদের সম্পদ যত্ন করে ব্যবহার করতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা, উপসচিব দাউদ হোসাইন চৌধুরী, উপসচিব মো: সুজাউদ্দৌলা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সিআইসি) এবং এলজিইডির প্রত্যেক উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ছিল। কিছু কিছু ক্যাম্পে যাওয়ার রাস্তাও ছিল না। কিন্তু টেকসই নির্মাণের মধ্যদিয়ে রাস্তাঘাটের যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। অবকাঠামো উন্নয়নে যে কাজগুলো হচ্ছে তা নিজেদের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করা সকলের উচিত বলে মনে করি, আর জনসচেতনতার প্রশংসনিয় এই কাজটিই পেশাদারিত্বের সাথে করছে বিসিসিপি।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প (ইএমসিআরপি) এর আওতায় এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আরও খবর