এম. বেদারুল আলম :
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারী। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে মতপার্থক্য এবং নির্বাচন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল গুলোর মধ্যে শংকা থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সেরে রাখছে নির্বাচন কমিশন।
তারই অংশ হিসেবে প্রতিটি জেলায় প্রস্তুতি সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ৪ সংসদীয় আসনের ভোটার তালিকা, কেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে। তফসিল ঘোষনা হওয়ার পরই প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার এবং পুলিং অফিসার নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে তালিকা গ্রহণ করে বাছাইকৃত তালিকা ধরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান – কক্সবাজার জেলার ৪ সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে জেলায় ভোটার এবং ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৫১৩ টি সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৬ টি। অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩টি। বেড়েছে ভোটার সংখ্যাও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার ৪ সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮২ জন তা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৩২ জন। অর্থাৎ ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫০ জন। বেড়েছে ভোট কক্ষের সংখ্যা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় ৪ আসনে ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ২৫৭৮টি বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০৫টি। অর্থাৎ ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে ৯২৭ টি।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় – দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার চার সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৩২জন। পুরুষ ভোটের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৭৩৫৯২ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৩৮ জন।
আসন ভিত্তিক ভোট কেন্দ্র ও ভোটার সংখ্যা হল (কক্সবাজার ১) চকরিয়া পেকুয়া আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩০২ জন এবং ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৮ টি। চকরিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩০২ জন। পেকুয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৩ হাজার জন।
(কক্সবাজার ২) মহেশখালী ও কুতুবদিয়া আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ২২ জন।ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৮ টি।
মহেশখালী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৫১৪ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৯৫ হাজার ৫০৮ জন।
(কক্সবাজার ৩) কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাও উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩৬ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৬ টি।
এরমধ্যে কক্সবাজার সদরে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৭ হাজার ১২০ জন। রামু উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৭৯ জন। নবগঠিত ঈদগাও উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৮৭হাজার ৭৩৭ জন।
(কক্সবাজার ৪) উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৭২ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৪ টি। এর মধ্যে উখিয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩১২ জন এবং টেকনাফ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৬০ জন।
জেলার চারটি আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে ৫৫৬ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ৩৫০৫ টি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯২৭টি। জেলায় পুরুষ ভোট কক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৭২৮ টি এবং মহিলা ভোট কক্ষের সংখ্যা ১হাজার ৭৭৭টি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন-দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেহেতু ব্যালটের মাধ্যমে হবে সেহেতু কোন যান্ত্রিক ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে স্বচ্ছভাবে আমরা ভোট গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় আমরা করণীয় নির্ধারণ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য এগিয়ে যাব। ঘেষিত তফশিল অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি সবার সহযোগিতায় আমরা একটি স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-