চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়েসহ ৮২ প্রকল্প একনেকে উঠছে আজ

ডেস্ক রিপোর্ট :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অথবা প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। কমিশন আইন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর আর কোনো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা করার নিয়ম নেই।

ফলে আজ মঙ্গলবারই হতে যাচ্ছে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ একনেক সভা। এমনটিই জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। আর এজন্য শেষ সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের হিড়িক পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ সভায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পসহ অন্তত ৮২টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হতে পারে।

আজ মঙ্গলবারের একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা এই ৮২ প্রকল্পের মধ্যে ৪৪টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প। এছাড়া ছয়টি মেয়াদ বাড়ানোর এবং বাকি ৩২টি পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদিত প্রকল্প। যেগুলো একসঙ্গে একনেকে উপস্থাপন করা হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের ওই মেয়াদের শেষ একনেক সভায় সর্বোচ্চ ৩৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

একনেকের কার্যতালিকা তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার যেসব প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতির প্রকল্প। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ৪ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা-ধোনাগোদা নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতুর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে নিচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতু। রাষ্ট্রপতির এলাকায় বহুল আলোচিত পাবনা জেলার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করে নেওয়া হচ্ছে। অত্যধিক ব্যয়ের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পও অনুমোদন পাচ্ছে। এছাড়া আগামী একনেকে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ছয়টি প্রকল্প তোলা হচ্ছে। যেগুলোর এরই মধ্যে তিনবার সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি প্রকল্প সভায় অবহিত করার জন্য তোলা হচ্ছে। যেগুলো এরই মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনুমোদন দিয়েছেন।

একনেকে যেসব নতুন বড় প্রকল্প অনুমোদন পেতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- নওগাঁ, মাগুরা ও জয়পুরহাট জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে তিন প্রকল্প, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, লার্নিং এডুকেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অফসাইড পানি সরবরাহের সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প, ১০ জেলায় বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি প্রকল্প।

এছাড়া আজকের একনেক সভায় ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। ভৌত অবকাঠামোর বড় প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ভাঙ্গা যশোর বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর, রিজিলিয়ান্ট আরবান এন্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ঢাকার ইনার সার্কুলার রিং রোডের বেড়িবাঁধ রায়েরবাজার থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েল গেজ রেলপথে রূপান্তর প্রকল্প এবং যমুনা রিভার সাসপেনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প ইত্যাদি।

আরও খবর