আবদুল হান্নান হীরা, (চট্টগ্রাম) :
গত ৯ অক্টোবর মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর টার্মিনাল থেকে ঘাসের ভিতর করে লোহার পাত চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় দ্বায়িত্বরত সিকিউরিটির কাছে হাতে নাতে ধরা পরেন মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর কর্মরত শ্রমিক মো. হোসেন (৪৫)।
তৎক্ষনাৎ দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড বিষয়টি সিকিউরিটি অফিসার আনোয়ার হোসেনকে জানালে তিনি জিএম অপারেশন মফিজুর রহমান কে অবগত করেন। পরে বিষয়টি প্রমানিত হলে জিএম মো. হোসেনকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এই বিষয়ে মুঠোফোনে সিকিউরিটি অফিসার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মো. হোসেন একই কাজ করে যাচ্ছে আমাদের চোখের আড়ালে। সে প্রতিনিয়ত ঘাস কাটার কথা বলে ঢুকে ঘাস কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন বড় বড় লোহার পাত ঘাসের ভিতরে সুকৌশলে অভিনব কায়দায় করে বাহিরে নিয়ে যায়।
বিষয়টি প্রথমে আমাদের নজরে না আসলেও পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি মো. হোসেনের কোন গরু কিংবা ছাগল নেই তাহলে ঘাস নিয়ে কি করে ? সন্দেহের ভিত্তিতে তাকে সার্চ করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পরেন মো. হোসেন।
বিষয়টি মিডিয়ার আড়ালে থাকলেও পরবর্তীতে পুণরায় মো. হোসেনকে চাকুরিতে নিয়োগের জন্য কতিপয় সিবিএ নেতারা অনুরোধ করেন যাতে করে মো. হোসেনকে পুণরায় নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এই বিষয়ে সম্পর্কে জিএম অপারেশন মফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরবর্তীতে অস্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে সম্পর্কে আমি অবগত নই, আপনারা টার্মিনাল আই এম আবুল মেরাজের সাথে কথা বলেন।
আমরা একাধিকবার তাকে ফোন করলেও প্রথমে ২/৩ দিন বার রিং হলেও পরবর্তীতে ফোন বন্ধ করে রাখা হয়। শুধু তাই নয় অতীতেও একই ঘটনা বিভিন্ন শ্রমিকের সাথে হয়েছে বলে জানা গেছে।
তাদেরকে তো পূণরায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি তাহলে মো. হোসেনের বিষয়টি আলাদা কেন? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ?
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-