তাজুল ইসলাম পলাশ :
# সহায়তা হিসেবে থাকছে গম, ভুট্টা, চিনা বাদাম সরিষা
কক্সবাজার জেলায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাচ্ছেন জেলার ৪ হাজার ২৬০ কৃষক। রবি মৌসুমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি’র লক্ষ্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা পাবেন এই সহায়তা। প্রণোদনা সহায়তা হিসেবে থাকছে গম, ভুট্টা, সরিষা ও চিনা বাদাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ির উপরিচালক কবির হেসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীদের উৎসাহিত করতে আট উপজেলার ৪ হাজার ২৬০ কৃষককে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হবে। এজন্য সরকারিভাবে এ কর্মসূচির আওতায় ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রকৃত চাষিদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তালিকা অনুযায়ী এসব কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা সহায়তা ও উপকরণ বিতরণ করা হবে’। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা করে (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ১ কেজি করে সরিষা, গম, ভুট্টা ও চিনা বাদাম বীজের সাথে সারও দেওয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চকরিয়া উপজেলায় গম ১০০, ভুট্টা ১৩০, চিনা বাদাম ৩০ ও সরিষা ৭৫০ জন, পেকুয়া উপজেলায় গম ২০, ভুট্টা ৫০, সরিষা ৫০০ জন, রামু উপজেলায় গম ১০, ভুট্টা ১০০, চিনা বাদাম ১০, সরিষা ৫০০ জন, সদর উপজেলায় গম ১০, ভুট্টা ৮০, চিনা বাদাম ২০, সরিষা ৪৫০ জন, উখিয়া উপজেলায় গম ২০, ভুট্টা ৭০, চিনা বাদাম ১০, সরিষা ৩৫০ জন, টেকনাফ উপজেলায় গম ১০০, ভুট্টা ১২০, চিনা বাদাম ২০, সরিষা ৩০০ জন, মহেশখালী উপজেলায় গম ৩০, ভুট্টা ৭০, চিনা বাদাম ২০, সরিষা ৩০০ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় গম ১০, ভুট্টা ২০, চিনা বাদাম ১০ এবং সরিষা পাবেন ৫০ জন কৃষক। সবমিলিয়ে জেলায় গম ৩০০ জন, ভুট্টা ৬৪০ জন, চিনা বাদাম ১২০ ও সরিষা ৩ হাজার ২০০ জনসহ মোট ৪ হাজার ২৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়ার তালিকা তৈরি করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজার।
প্রত্যেক কৃষককে গম ২০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি এবং এমওপি ১০ কেজি। ভুট্টা বীজ ২ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ১০ কেজি। চিনা বাদাম বীজ ১০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি এবং এমওপি ৫ কেজি। সরিষা প্রতিজনকে বীজ ১ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি এবং এমওপি ১০ কেজি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সার-বীজ বিতরণের বিষয়ে জেলা মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর উপজেলা পর্যায়ে এসব সার-বীজ কৃষকের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকার জন্য যতটুকু সম্ভব খাদ্য উৎপাদনে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন। এজন্য জেলার কৃষকদের সাথে আলাপও হয়েছে। পড়ে থাকা অনাবাদি জমি কিভাবে আবাদের অনুকূলে আনা যায়।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনও কৃষক জমি আবাদ করতে অপারগ হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট দফতরের সহযোগিতায় জমি আবাদ করার ব্যবস্থা করবো।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-