সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার •
নির্ভরতা এবং আস্থার দিক থেকে ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্লক বাটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণে তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ বাড়ছে। তাই মফস্বলের গ্রাম থেকে ঘরে বসে আয় করা এখন আর অলীক কল্পনা নয়। দিবা-রাত্রির মতো সত্য। তারই প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে উখিয়ার বেকার যুবক যুবতীরা।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজিবের একক উদ্যোগ, আন্তরিকতায় এবং সঠিক পরিকল্পনা ও টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়নে মাধ্যমে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে উখিয়ার তরুণ-তরুণীদের মুক্ত করতে একটি ফ্রিল্যান্সিং এবং ব্লক বাটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণ সেন্টার উপজেলা প্রশাসনে চত্বরে স্থাপন করে। এই প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের কর্মদক্ষ করে বাড়িতে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাজ করছে উখিয়ার তরুণ-তরুণীরা।
তাদেরই একজন সাকিবুল হাসান। যে কিনা একটি গরিব মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। যার জন্ম থেকেই এক পা বিকল। মধ্যবিত্ত পরিবার তার উপর শারীরিক অক্ষমতা দুই-ই মিলে সাকিবের জন্য পড়ালেখা করার ব্যাপারটা ছিলো কষ্টসাধ্য। কিন্তু সে হার না মেনে ছোটকাল থেকে পড়ালেখার প্রতি প্রবল ইচ্ছে থাকায় এক পায়ে ভর করে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যায় সে এবং পরিবারের সহযোগিতায় মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করে সাকিব। কিন্তু এইচএসসি চালিয়ে যেতে সাকিব পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু করবে ভাবলেও কিছু করা হয়ে উঠছিলো না শারীরিক বাধা তথা প্রতিবন্ধী হওয়ায় কারনে। কোন রকম উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করে সাকিব। উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখার পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতো অনলাইনে টাকা ইনকাম করে আরো পড়ালেখা চালাবে সে। তবে ল্যাপটপ বা একটি ভালো মোবাইল ফোন কেনার সাধ্য হয়ে উঠেনি তার। ইচ্ছে থাকলেও টাকার অভাবে নিতে পারেনি কম্পিউটার কোর্সও।
কিন্তু সাকিবের জীবনের মোড় ঘুরতে শুরু করে উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজিব এর একক প্রচেষ্টায় ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠা এই ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে ভর্তি হয়ে। ভর্তির পর অধীর আগ্রহে শিখতে থাকে সে এবং তার অদম্য স্পৃহা ও চেষ্টায় কোর্সের পরীক্ষায় প্রথম হন সাকিব।
পরে সাকিবের স্পৃহা দেখে মুগ্ধ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজিব। তিনি সাকিবের দারিদ্রতা বিষয়টি জেনে তার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্যাবের ব্যবস্থা করেন। ট্যাবটি সাকিবের হাতে তুলে দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান।
সেদিন জেলা প্রশাসক সাকিবকে ভালো কাজের তাগিদ দেন এবং উৎসাহিত করে বলেন, সাকিব আরো ভালো করতে পারলে একটি ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পরে জেলা প্রশাসকের ঘোষণায় দ্বিগুণ উৎসাহিত হয়ে তিন মাসে সাকিব আয় করে ৪০০ ডলার। শত ব্যস্ততার মাঝেও কথা রাখেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এবার সাকিবকে ডেকে অনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দেন এইচপি ল্যাপটপ। ল্যাপটপ পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন সাকিব।
সাকিব বলেন, ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পেরে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজিবের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি না হলে আজ আমার কাজের উন্নতি হতো না। বিকল পা নিয়ে পড়ালেখা করে কিই-বা করবো তা নিয়ে অনেক দ্বিধায় ছিলাম। বর্তমানে আমি পড়ালেখার পাশাপাশি এখন কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং আয় করছি ডলার।
সাকিব আরও বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের প্রতি রইলো অকৃত্রিম ভালোবাসা। তিনি আমাকে একটি ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন। আমার বা আমার পরিবারের সাধ্য ছিলো না ল্যাপটপ কেনার। এখন এটি নিয়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং করে পরিবারের খরচ ও নিজের পড়ালেখার খরচও নিজে চালিয়ে নিতে পারছি।
বর্তমানে উখিয়ার শতাধিক তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিং, ব্লক বাটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েব পেজের মাধ্যমে অনেক উদ্যোক্তা নিজেদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছেন। আবার এখানে কাজ করে আয় করে সংসারও চালাচ্ছে অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণী।
কক্সবাজার জেলায় এই ধরনের আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে তরুণ সমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদান করার উদ্যোগ এই প্রথম। যা সম্ভব হয়েছে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীবের প্রচেষ্টায়।
সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ জানান, এই ধরনের ট্রেনিং সেন্টার বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সিদ্ধান্তকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এই ধরনের বাস্তবধর্মী চিন্তা ভাবনা ও উদ্যোগ সত্যি প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখেন।
এই প্রশিক্ষণ সেন্টারকে অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের মতো কক্সবাজার জেলার সব উপজেলায় ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোসিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান তারা।
প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের সনদপ্রাপ্ত সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবুল আবছার বলেন,”আমি উপজেলা প্রশাসনের আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে কোর্স সম্পন্ন করে ওয়েব ডিজাইন, একাউন্ট ওপেন সহ ডিজিটাল মার্কেটিং প্লেসের বিভিন্ন বিষয়ে জানার সুযোগ হয়েছে। আমি অবসর সময়ে অর্জিত জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে উপার্জনের চেষ্টা করি। ইতোমধ্যে আমার ১০০ ডলার ইনকামের সুযোগ হয়েছে।
প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা গণমাধ্যমকর্মী ইমরান আল মাহমুদ বলেন,”আমি তিনমাসব্যাপী এ কোর্স সম্পন্ন করে নতুন নতুন অনেক বিষয় জানতে পেরেছি। সেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে উপার্জনের চেষ্টা করবো। বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উপার্জনের সহজ একটি মাধ্যম ডিজিটাল মার্কেটিং।” উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বিষয়টি অনুধাবন করে আমাদেরর এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।
অন্যদিকে ব্লক বাটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজাপালং সিকদার বিলের আকলিমা আক্তার বলেন, উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থাপিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে তিনমাসব্যাপী কোর্স সম্পন্ন করে বিভিন্ন কাপড় সেলাই করে মাসে ৩/৪ হাজার টাকা মতো আয় করি। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরিকল্পিত পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়নের চিন্তার ফলে আমাদের মাঝে সেলাই মেশিনও বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আমাদের অনেক কাজে আসবে বলে মনে করি।”
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন বলেন,” উখিয়া উপজেলার যুবক যুবতীদের বেকারত্ব দূরীকরণের উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে স্থাপিত ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উখিয়ার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মদক্ষ নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী বলেন,” উপজেলার যুবক যুবতীদের ট্যাকনিকেল পেশা গ্রহণের সুবিধার্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এ ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।”
কোর্সের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বদরুল আলম বলেন,” উপজেলার শিক্ষার্থীদের বেকারত্ব দূরীকরণে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এবং ব্লক বাটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণের এ কোর্স দুটি ইউএনও’র আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে চালু করা সম্ভব হয়েছে। আশা করি এটির সফলতা পাবে উখিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।”
উখিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুনেচ্ছা বেবি জানান, সমাজের অবহেলিত বেকার নারী ও শিক্ষিত নারীরা যত বেশী দক্ষতা অর্জন করবে দেশ ততবেশি এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে বা এগিয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় উপজেলা ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং ট্রেনিং সেন্টার উখিয়ার নারী সমাজকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হিসাবে তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, কর্মদক্ষ জনবল দেশের সম্পদ। দেশকে এগিয়ে নিতে বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীবের কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত উপজেলা ফ্রীল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুর হক চৌধুরী বলেন, ইউএনও ইমরান হোসাইন সজীব একজন ডাইনামিক ও বাস্তববাদী অফিসার। তিনি উখিয়ায় ইউএনও হিমাবে যোগদান করার পর থেকেই একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ যুগোপযোগী প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যার ফলে ইতিমধ্যেই বর্তমান সরকার ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসহ সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজিব বলেন, বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির কল্যাণে নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সহজেই আয় করছেন তরুণরা। এমনই এক ক্ষেত্রের নাম ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং ধীরে ধীরে তরুণ ও যুব সমাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ও যুব উন্নয়নের মাধ্যমে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সহয়তা দিতে কাজ করছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়ায় শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রতি দক্ষ করে গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ। পাশাপাশি ব্লক বাটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সে নারীদের দক্ষ করে তুলতে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে।
প্রথম ব্যাচে দুটি কোর্সের মোট ৪০ জনের মাঝে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৫ জনকে সেলাই মেশিন বিতরণ ও ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের একজনকে ল্যাপটপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলার শিক্ষার্থীদের বেকারত্ব দূরীকরণে এ ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
ইউএনও সজিব আরও বলেন, গতানুগতিক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোথাও গিয়ে না শিখে উখিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ-তরুণীরা উপজেলা ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে গুণগত মানের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারে এবং বর্তমানে বেকারত্বের হার কমানোর উদ্দেশ্যে ও চাকরির বাজারে প্রেসার কমিয়ে তরুণদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল স্কিলে দক্ষ করে ফ্রিল্যান্সিং করে দেশের রেমিটেন্সে অবদান রাখার জন্য কাজ করে যাওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আমি ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং সেন্টারটি চালু করেছি। এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণী এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান কর্যক্রম এখনো চালু রযেছে। এই ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখা গেলে ভবিষ্যতে বেকারত্ব মুক্ত উখিয়া উপজেলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা ও সহযোগিতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-