বিশেষ প্রতিবেদক •
আদালতে মোটরসাইকেল চুরি মামলায় হাজিরা দিতে এসে পুনরায় মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) নগরীর কোতোয়ালী, কক্সবাজার ও কুমিল্লা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সিরাজশাহ মাজার বাড়ী কোলাগাঁও এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে মো. রিপন (৩২), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়েনের মনু মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের জিলানী উরফে অভি (২৬) ও কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাতারবাড়ী মনহাজীর পাড়া এলাকার মো.মোস্তাক ছেলে সজিবুল ইসলাম (২১)।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর ও তার আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চোর চক্রটিকে চিহ্নিত করে ধরার জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হয়। প্রথমে কোতোয়ালী থানার মেরিনার্স রোডস্থ এস আলম বাস ডিপুর বিপরীত পাশে পাকা রাস্তা থেকে মূলহোতা মো. রিপনকে একটি আরটিআর চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়।
গ্রেফতার মো. রিপন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে এসব চোরাইকৃত মোটরসাইকেলগুলো কুমিল্লা জেলার আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে অভি ও কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর সজিবুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর দুইজনকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা ও নাঙ্গলকোর্ট এলাকায় থেকে আটক করা হয়। এ সময় আব্দুল কাদের জিলানী থেকে ৮টি এবং সজিবুল ইসলামের থেকে ৪ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
স্বীকারোক্তিতে সে আরও জানায়, কক্সবাজার গেলে চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করে ফেরার পথে সেখান থেকে আরেকটি চুরি করে কুমিল্লা নিয়ে যায়। কুমিল্লায় চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করে সেখান থেকে আরেকটি চুরি করে কক্সবাজার নিয়ে যায়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘রিপন নগরীর কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় আদালতে মোটরসাইকেল চুরি মামলার হাজিরা দিতে এসে বিশেষ কৌশলে লক করা মোটরসাইকেল দ্রুত সময়ে লক খুলে চুরি করে নিয়ে যায়। সে এসব চোরাই মোটর সাইকেলগুলো বিভিন্ন সময়ে আব্দুল কাদের জিলানী ও সজিবুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে।’
গ্রেফতার তিনজনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-