উখিয়ায় সরকারি পাঁচ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে করাতকল স্থাপন: আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ!

ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল •


সরকারি পাঁচ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে আদালতে মামলা দায়ের করে করাতকলের বৈধতা নেওয়ার চেষ্টা করেন উখিয়ার মোহাম্মদ আলম নামের এক ব্যক্তি। সে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধ্যম পাইন্যাশিয়া এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে।

জানা যায়, নুরুল আলম দীর্ঘদিন যাবত রত্নাপালং ইউনিয়নের মধ্যরত্না এলাকায় অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করে বনের কাঠ চিরাই করে আসছিলো। করাতকলের বৈধতা নিতে মামলা দায়ের করেন কক্সবাজার সহকারী জজ আদালত(উখিয়া) তে। যার মামলা নং ১৫২/২৩ইং।

চলতি বছরের ১৬ মে মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন মোহাম্মদ আলম বাদী হয়ে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক,উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা, ভালুকিয়া বিট কর্মকর্তা ও সরকারের পক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে। পরে মোহাম্মদ আলম তার স’মিল বৈধতা পেতে পাঁচ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ(উখিয়া) বরাবর ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করেন।

পরে বিষয়টি আদালতের বিজ্ঞ জজের নজরে আসলে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয় এবং জজ স্বপ্রণোদিত হয়ে নুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এবং অবৈধ স’মিল ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালতের নির্দেশে সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালংয়ে অবস্থিত মোহাম্মদ আলমের স’মিল উচ্ছেদ ও আনুমানিক ১৫০ ঘনফুট বনজ কাঠ জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। বনবিভাগের সহযোগিতায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালেহ আহমদ। টানা তিন ঘন্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম সহ বিভিন্ন বিটের কর্মকর্তা ও স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান,” মোহাম্মদ আলম অবৈধভাবে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অনুমতি নিছে মর্মে সাইনবোর্ড স্থাপন করে স’মিলে বনের কাঠ চিরাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় আদালতের নির্দেশে এসিল্যান্ড মহোদয়ের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ বলেন,”নুরুল আলম সরকারি পাঁচ কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভূয়া কাগজপত্র আদালতে দাখিল করে। পরে আদালতের নির্দেশে তার অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ ও বনজ কাঠ জব্দ করা হয়।”

আরও খবর